(বাঁ দিকে) ধৃত মোহিত। মৃত সেই শিশু (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। মেয়েকে তাঁদের বাড়ি যেতে বারণ করেছিলেন। কথা শোনেনি পাঁচ বছরের কন্যা। অভিযোগ, সে কারণে মেয়ের গলা টিপে খুন করেন বাবা। তার পরে দেহ চার টুকরো করেন। উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে মোহিত নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবীণরঞ্জন সিংহ জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সীতাপুর থানায় এক শিশুর নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ডায়েরিতে জানানো হয়, বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে পাঁচ বছরের তানি। তার পরেই মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে শিশুটির দেহের একটি অংশ খুঁজে পান তদন্তকারীরা। পরের দিন উদ্ধার হয় আরও একটি অংশ। পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, শিশুটিকে খুন করা হয়েছে। এর পরে পুলিশ স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
প্রবীণরঞ্জন জানান, তদন্তের মাঝেই শিশুটির বাবা উধাও হয়ে যান। তাঁর কথায়, ‘‘স্ত্রীর কাছে নিজের ফোনটি দিয়ে উধাও হয়ে যান বাবা। এর পরেই শিশুটির পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করি। সে সব চলাকালীন শিশুটির বাবা আবার বাড়ি ফিরে আসেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই খুনের কথা স্বীকার করে নেন।’’ মোহিত জেরায় বলেছেন, প্রতিবেশী রামুর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল তাঁদের। দিন কয়েক আগে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা হয়। তার পরে মেয়েকে বার বার রামুর বাড়িতে যেতে বারণ করেছিলেন মোহিত। ঘটনার দিন মেয়েকে সেই রামুর বাড়ি থেকে বার হতে দেখেছিলেন তিনি। তার পরেই নিজের বাইকে চাপিয়ে কন্যাকে নির্জন এক জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে তার গলা টিপে খুন করেন বলে জানিয়েছেন মোহিত। শেষে দেহ চার টুকরো করেন বলে অভিযোগ। মোহিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।