National News

বৃদ্ধাশ্রমে যেতে না চাওয়ায় মাকে ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করল ছেলে!

বৃদ্ধাশ্রমে যেতে চায়নি ৭৬ বছরের মা, তাই তাঁকে ইট দিয়ে থেঁতলে, শ্বাসেরোধ করে খুন করল ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লির সাগরপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, মাকে খুনের অভিযোগে লক্ষ্মণ কুমার নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ১৭:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

বৃদ্ধাশ্রমে যেতে চায়নি ৭৬ বছরের মা, তাই তাঁকে ইট দিয়ে থেঁতলে, শ্বাসেরোধ করে খুন করল ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লির সাগরপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, মাকে খুনের অভিযোগে লক্ষ্মণ কুমার নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৫ এপ্রিল। মাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন লক্ষ্মণ। পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই লক্ষ্মণদের আর্থিক অনটন চলছিল। তাই মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসার জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কিছুতেই সায় দেননি মা। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকত বলে পড়শিরা জানান। গত মঙ্গলবার সেই অশান্তি চরমে ওঠে। রাগের বশে লক্ষ্মণ প্রথমে তাঁর মাকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। তার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে প্লাস্টিকের পাইপ গলায় জড়িয়ে শ্বসরোধ করে খুন করেন। মাকে খুন করার পর তাঁর দেহের পাশেই দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাগ কমলে নিজের ভুল বুঝতে পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েন লক্ষ্মণ। এক প্রতিবেশী জানান, প্রায় দিন অশান্তি হত বলে কেউ একটা মাথা ঘামাননি। কিন্তু এক বড় একটা কাণ্ড ঘটাবেন লক্ষ্মণ সেটা কল্পনাতেও আনতে পারেননি। পুলিশ জানিয়েছে, সাগরপুর থেকে এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, “আমি মাকে খুন করেছি।” প্রতিবেশীরাও পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে ফোন করেন। পুলিশ এসে লক্ষ্মণকে গ্রেফতার করে।

আরও পড়ুন: সুকমা নিয়ে ফেসবুকে রাজনাথকে তীব্র কটাক্ষ জওয়ানের, ভাইরাল ভিডিও

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, লক্ষ্মণ অনেক দিন ধরেই বেকার ছিলেন। মাকে বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার জন্য বার বার জোরাজুরি করতেন। আর্থিক অনটনের জন্য তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন লক্ষ্মণ। তবে তিনি সত্যি কথা বলছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন