—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কেরলের ত্রিশূরের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৭৪ বছরের বৃদ্ধা এবং তাঁর ৪৩ বছরের কন্যার পচাগলা দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে দু’জনকে। সেই খুনের তদন্তে নেমে তাদের অনুমান, রেখা এবং তাঁর মা মণির খুনের নেপথ্যে রয়েছেন রেখার স্বামী। প্রথম স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তার পরে জামিনে ছাড়া পান। এ বার তাঁর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল। প্রেমকুমার নামে ওই ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় ত্রিশূরের পাদিয়ুর গ্রামের বাড়ি থেকে মণি এবং রেখার দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়েরা ওই বাড়ি থেকে পচা গন্ধ পেয়ে মণির বড় কন্যা সিন্ধুকে খবর দেন। তিনি বাড়ির পিছনের দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, মেঝেতে পড়ে রয়েছে দুই মহিলার দেহ। সিন্ধু থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
রেখার স্বামী প্রেমকুমার কোট্টায়াম জেলার বাসিন্দা। রেখার আগেও অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে সেই মহিলা খুন হন। তাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন প্রেমকুমার। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন। তার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় নির্যাতনের অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্ত্রী রেখা। সে কারণেই কি স্ত্রী, শাশুড়িকে খুন করেছেন তিনি? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে প্রেমকুমারের হাতে লেখা একটি হুমকির চিঠিও মিলেছে। পুলিশ সেটিও খতিয়ে দেখছে।