Building Collapse

ধসে পড়া বাড়ির স্তূপ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার আবাসিক, এখনও আটকে আর ন’জন!

পুলিশ জানিয়েছে, যাঁরা আটকে পড়েছে তাঁদের মধ্যে কয়েকজন শ্রমিকও রয়েছেন। এঁরা কাজ করছিলেন নীচের গুদাম ঘরে। সেই সময়েই আচমকা ধসে পড়ে বাড়িটি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:৫৬
Share:

ফাইল চিত্র

ধসে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে ছিলেন ১৮ ঘণ্টা। শনিবার দুপুরের সেই দুর্ঘটনার পর রবিবার সকালে কংক্রিটের চাঙড়ের নীচ থেকে টেনে বার করা হল ৩৮ বছরের এক যুবককে।

Advertisement

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, বাড়িটিতে যে চারটি পরিবারের বাস ছিল, ওই যুবক তাঁদের একজন। তবে এখনও ওই বাড়িটির আরও ৯ জনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনাটির ২৪ ঘণ্টা পর, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নীচেই আটকে রয়েছেন বলে অনুমান উদ্ধারকারীদের। তবে তাঁরা কী অবস্থায় রয়েছেন, সে ব্যাপারে অনিশ্চিত তাঁরা।

শনিবার দুপুর ১টা ৪৫মিনিট নাগাদ মহারাষ্ট্রের থানে জেলার ভিওয়ান্ডি টাউনের একটি দ্বিতল বাড়ি আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। বাড়িটির নীচের অংশে ছিল বিভিন্ন সংস্থার গুদাম ঘর। উপরের তলে থাকত চারটি পরিবার। বাড়িটি ভেঙে পড়ার পর এঁদের মধ্যে ১২ জনকে রবিবার সকাল পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে বাকি ন’জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

Advertisement

উদ্ধার হওয়া ১২জনের মধ্যে রবিবার সকালে যাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর নাম সুনীল পিসা। বয়স ৩৮। সুনীল গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে এবং উদ্ধার হওয়া বাকিদেরও ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।

পুলিশ জানিয়েছে, যাঁরা আটকে পড়েছে তাঁদের মধ্যে কয়েকজন শ্রমিকও রয়েছেন। এঁরা কাজ করছিলেন নীচের গুদাম ঘরে। সেই সময়েই আচমকা ধসে পড়ে বাড়িটি। শনিববারের এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে পৌঁছন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। বাড়িটির মালিক ইন্দ্রপাল পাটিলের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন ধারায় দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, বাড়িটির বয়স মাত্র ১০ বছর। তবে সম্প্রতি বাড়িটির মাথায় একটি মোবাইল টাওয়ার লাগানো হয়েছিল। সম্ভবত তার ভার সহ্য করতে না পেরেই ভেঙে পড়ে বাড়িটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন