নিজের প্রিয় বাইকের সঙ্গে প্রিন্স। ছবি: সংগৃহীত।
গতিই তাঁর নেশা। আর সেই গতির কারণেই প্রাণ গেল গুজরাতের এক সমাজমাধ্যম প্রভাবী যুবকের। নাম প্রিন্স পটেল। দ্রুতগতিতে বাইক চালানোই তাঁর নেশা। শুধু নেশা নয়, সেই গতি ক্যামেরাবন্দিও করতেন তিনি। তার পর নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে দিতেন। প্রচুর ভিউ, লাইক আর কমেন্টও পেতেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সুরতের গ্রেট লাইনার সেতু ধরে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার বেগে বাইক ছোটাচ্ছিলেন প্রিন্স। এই সেতুটি থেকে একাধিক রাস্তা বেরিয়েছে। সেতুর একটি জায়গায় বাঁক নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান প্রিন্স। তার পর সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা মারেন। বাইকটি শূন্যে কয়েক বার পাক খেয়ে আছড়ে পড়ে। প্রিন্সও কয়েক বার শূন্যে ঘুরপাক খেয়ে সেতুর রেলিংয়ের উপর পড়েন, তার পর সেখান থেকে নীচে পড়ে যান। ধাক্কার এমনই অভিঘাত ছিল যে, প্রিন্সের মাথা তাঁর ধড় থেকে ছিঁড়ে আলাদা হয়ে যায়। এমন দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলেন পথচারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় হেলমেট পরা ছিল না প্রিন্সের। জানা গিয়েছে, প্রিন্সরা একটি অস্থায়ী ছাউনিতে থাকেন। তাঁর মা দুধ বিক্রি করে সংসার চালান। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সুরতের বাইকচালকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন প্রিন্স। তাঁর ইনস্টাগ্রাম অনুগামীর সংখ্যাও কম নয়। গত সেপ্টেম্বরেই স্পোর্টস বাইক কিনেছিলেন প্রিন্স। শখ করে বাইকের নাম দিয়েছিলেন ‘লায়লা’। আর নিজেকে ‘মজনু’ বলতেন।