দু’দিন আগে এক দৈনিকে প্রকাশিত হয় খবরটা। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান বা সিরিয়ার তুলনায় মহিলাদের জন্য সব চেয়ে বিপজ্জনক দেশ ভারত— বিশেষজ্ঞদের সমীক্ষায় সে তথ্যই উঠে এসেছে। সমীক্ষা খারিজ করে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারতের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক। তাদের মতে, সমীক্ষা হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতিতে।
তারা সমীক্ষার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মেনকা গাঁধী। জানতে চেয়েছেন, সমীক্ষার আগে কেন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি? এই সমীক্ষা দেশকে কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্যেই। ভারত সরকারের দাবি, এতে প্রাসঙ্গিক তথ্য উপেক্ষা করা হয়েছে। এখন ভারতে নারী-অধিকার দৃশ্যত গুরুত্ব পাচ্ছে। বাল্য-বিবাহের হার কমেছে। ৯ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের বিয়ের খবর এখন আর উঠে আসে না। মন্ত্রকের দাবি, ১৫-১৯ বছর বয়সি মেয়েরা যে হারে অন্তঃসত্ত্বা হত, সেই হারও কমেছে। ২০০৫-০৬ সালের ১৬% থেকে ২০১৫-১৬ সালে সেটি ৭.৯% নেমেছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো-র তথ্য দিয়ে তারা বলেছে, ২০১৬-য় ৩৮,৯৪৭টি ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে সেটা ছিল, ৩৬,৭৩৫ এবং ৩৪,৬৫১। মামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অর্থ, অনুকূল পরিবেশে মহিলারা অভিযোগ জানাতে পারছেন। মন্ত্রক আরও তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, অ্যাসিড হানার সংখ্যাও অনেক কমেছে।
আরও পড়ুন: দালাল-রাজ জারি, সন্দেহ অর্থ মন্ত্রকে