আমুর ফ্যালকন বাঁচাতে জমা থাকবে এয়ারগান

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৯ ০১:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি

আমুর ফ্যালকনের দল আসার সময় হয়ে এল। আমুর বাজের সংরক্ষণে বিশ্বে নজির গড়া নাগাল্যান্ড, মণিপুর তৈরি হচ্ছে অতিথিদের স্বাগত জানাতে। গত বার শিকারিরা গুলি করে কয়েকটি পাখি মেরেছিল। তার মধ্যে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার লাগানো আমুরও ছিল। এ বছর তাই মণিপুরের তামেংলং জেলা প্রশাসন আজ রবিবার থেকেই সব এয়ারগান জমা নিতে শুরু করেছে। গ্রাম পঞ্চায়েতে সকলের এয়ারগান জমা রাখতে হবে, যত দিন না আমুরের দল দক্ষিণ ভারতের দিকে উড়ে যায়।

Advertisement

স্থানীয় মেইতেই ভাষায় আখুইপুইনা বাজ পাখিরা উত্তর চিন, পূর্ব মঙ্গোলিয়া, সুদূর পূর্ব রাশিয়া থেকে উড়ে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই উত্তর-পূর্ব ভারতে ঢুকতে শুরু করে। বাসা বাঁধে নভেম্বর পর্যন্ত। নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে এই সময় প্রচুর পতঙ্গ ওড়ে। তা খেতেই আমুরের দল এই দুই রাজ্যে ঘাঁটি গাড়ে। ৪৫ দিন বিশ্রামের পরে টানা পাঁচ-ছ’দিন উড়ে তারা ভারত উপকূল, আরব সাগর পার করে পৌঁছায় সোমালিয়ায়।

গত বছর দুটি আমুরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বাঁধা হয়েছিল। তাদের নাম দেওয়া হয়, ‘তামেংলং’ ও ‘মণিপুর’। তাদের মধ্যে ‘মণিপুর’কে তামেংলং জেলাতেই হত্যা করে শিকারিরা। পাঁচ দিন সাত ঘণ্টা উড়ে, ৫৭০০ কিলোমিটার দূরে জাম্বিয়ার আশপাশে পৌঁছানোর পরে ‘তামেংলং’য়ের সঙ্গেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তামেংলং জেলার ডিএফও অরুণ আর এস জানান, ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (ডব্লুআইআই)-র সহায়তায় এ বছর আরও পাঁচটি বাজের শরীরে ট্রান্সমিটার বসানো হবে। আগামিকাল ডব্লুআইআই-এর বিশেষজ্ঞরা তামেংলং আসছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন