কাছাড়ে ধৃত মণিপুরি জঙ্গি

কাছাড়ের গ্রামে ধরা পড়ল মণিপুরের দুই জঙ্গিনেতা। গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের আশ্রয়দাতাকেও। গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে গত কাল পুলিশ লক্ষ্মীপুর মহকুমার মামংলেইকা বস্তিতে অভিযান চালায়। সঙ্গে ছিল আসাম রাইফেলস ও সিআরপিএফ। সেখানে ধরা পড়ে মণিপুরের জঙ্গি সংগঠন ‘রেভেলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট’ (আরপিএফ)-এর স্বঘোষিত সার্জেন্ট মেজর খেমা সিংহ ও সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট ইবোমচা সিংহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৬ ০৪:২৮
Share:

কাছাড়ের গ্রামে ধরা পড়ল মণিপুরের দুই জঙ্গিনেতা। গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের আশ্রয়দাতাকেও।

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে গত কাল পুলিশ লক্ষ্মীপুর মহকুমার মামংলেইকা বস্তিতে অভিযান চালায়। সঙ্গে ছিল আসাম রাইফেলস ও সিআরপিএফ। সেখানে ধরা পড়ে মণিপুরের জঙ্গি সংগঠন ‘রেভেলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট’ (আরপিএফ)-এর স্বঘোষিত সার্জেন্ট মেজর খেমা সিংহ ও সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট ইবোমচা সিংহ। খেমার বাড়ি ইম্ফলের বিষ্ণুপুর গ্রামে। ইবোমচা জিরিবামের বাবুরপাড়ার বাসিন্দা। দু’মাস ধরে তারা মামংলেইকা বস্তিতে সূর্য সিংহের বাড়িতে ঘাঁটি গেড়ে ছিল। তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য সূর্যকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

খেমা জানায়, ১৯৯৯ সালে সে আরপিএফে যোগ দেয়। ২০১২ সালে সে কাছাড়েই একবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল। তিনমাস জেল খাটার পর জামিনে ছাড়া পায়। পরে আবার জঙ্গিঘাঁটিতে চলে যায়। ইবোমচার কথায়, ১৯৯৫ সালে সে জঙ্গিখাতায় নাম লেখায়। যোগ দেওয়ার দু’বছরের মাথায় চূড়াচাঁদপুরে অস্ত্র প্রশিক্ষণের পায়। ২০০৮ সালে একবার মণিপুরে গ্রেফতার হয়েছিল সে। দেড় বছর জেল খেটে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরেই সে মায়ানমারে পালায়। ২০১৫ সালে মণিপুরের ফেরার পরে সে জঙ্গিদলের সংশ্রব ত্যাগ করে। জঙ্গিদের খপ্পর থেকে বাঁচতেই সে সূর্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। পুলিশ তার বক্তব্যের সত্যতা জানার জন্য মণিপুর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন