Manish Tewari

খড়্গের পাশে বিক্ষুব্ধ জি-২৩ শিবিরের মণীশও

মণীশ তিওয়ারি, শশী তারুর-সহ কংগ্রেস নেতারা সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে সক্রিয়তা, সাংগঠনিক নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২২ ০৮:১৭
Share:

মণীশ তিওয়ারি। ফাইল চিত্র।

কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের জি-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য ছিলেন শশী তারুর। সেই জি-২৩ গোষ্ঠীর মণীশ তিওয়ারি আজ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে তারুরের বদলে মল্লিকার্জুন খড়্গেকে সমর্থন জানালেন। কংগ্রেস শিবির মনে করছে, হাওয়া বুঝে আগামী দিনে বিক্ষুব্ধ নেতাদের প্রায় সবাইকেই তারুরের বদলে গান্ধী পরিবারের আশীর্বাদধন্য প্রার্থী মল্লিকার্জুনকে সমর্থন করতে দেখা যাবে। একে একে তাঁরা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রাতেও অংশ নেবেন।

Advertisement

মণীশ তিওয়ারি, শশী তারুর-সহ কংগ্রেস নেতারা সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে সক্রিয়তা, সাংগঠনিক নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন। তারুর সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় প্রাথমিক ভাবে অনেকেই মনে করেছিলেন, তিনি বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর প্রার্থী। কিন্তু সেই বিক্ষুব্ধেরাই এখন মল্লিকার্জুনকে সমর্থন করছেন। মণীশের মতে, ‘‘সব দিক বিবেচনা করলে, নিরপেক্ষ পর্যালোচনা করলে, কংগ্রেসের এখন মল্লিকার্জুন খড়্গের মতোই নিরাপদ হাত দরকার, যিনি কংগ্রেসের সেবায় জীবনের ৫০ বছর কাটিয়েছেন। উনি দলের তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছেন। কংগ্রেসের যে রকম স্থিতিশীলতা দরকার, তা খড়্গেই দিতে পারেন।’’ অধিকাংশ প্রবীণ নেতাই ইতিমধ্যে খড়্গেকে সমর্থন জানিয়েছেন। কংগ্রেসের অন্দরমহল মনে করছে, সোমবার কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে খড়্গে প্রায় ৯০ শতাংশ ভোট পেতে পারেন।

উল্টো দিকে তারুর আগেই নালিশ জানিয়েছেন, খড়্গে যে ভাবে রাজ্যে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সহযোগিতা পাচ্ছেন, তা তাঁর জুটছে না। বৃহস্পতিবার তাঁর লেখা বি আর অম্বেডকরের জীবনীর প্রকাশ অনুষ্ঠানে তারুর বলেছিলেন, ‘‘ভারতীয় সংবিধানের প্রণেতা রাজনীতিতে পারিবারিক উত্তরাধিকারের বিরোধী ছিলেন বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে। যদিও অম্বেডকর এ কথা কোথাও লেখেননি। কিন্তু ধরে নেওয়া যেতে পারে, নির্বাচন বা মেধার বদলে উত্তরাধিকারের মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতৃত্ব নির্ধারণের ভাবনা তিনি মেনে নিতেন না এবং তাকে সমালোচনার দৃষ্টিতেই দেখতেন।’’

Advertisement

শুক্রবার অবশ্য ভোপালে গিয়ে মধ্যপ্রদেশের প্রদেশ সভাপতি কমল নাথের অভ্যর্থনা পেয়েছেন তারুর। তারুরের বক্তব্য, ‘‘এখনও পর্যন্ত যে সাতটি রাজ্যে গিয়েছি, তার মধ্যে প্রথম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা আমাকে অভ্যর্থনা জানালেন। নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে ধন্যবাদ।’’ খড়্গে প্রসঙ্গে অবশ্য তাঁর মত, তিনি কারও বিরোধী নন। যে-ই জিতুন, সবাই মিলে কাজ করবেন। দলকে নির্বাচনের জন্য মজবুত করাই লক্ষ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন