রফা হতেই ‘ছুটি’ চৌটালার বাবার, মুখ্যমন্ত্রী খট্টরই, সঙ্গী দুষ্মন্ত

শুক্রবার রাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, হরিয়ানায় বিজেপি সরকারকে সমর্থন দেবে জেজেপি। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির আর উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন দুষ্মন্তের দল থেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৫৮
Share:

মনোহরলাল খট্টরকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। ছবি: পিটিআই

সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হলেও রবিবার দুপুরে দ্বিতীয় দফায় হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন মনোহরলাল খট্টর। আজ ওই রাজ্যের বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে খট্টরকে নেতা নির্বাচিত করার পরেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গড়ার দাবি জানান তিনি। উপমুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জননায়ক জনতা পার্টির নেতা দুষ্মন্ত চৌটালা।

Advertisement

শুক্রবার রাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, হরিয়ানায় বিজেপি সরকারকে সমর্থন দেবে জেজেপি। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির আর উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন দুষ্মন্তের দল থেকে। সরকার গড়ার প্রশ্নে প্রয়োজনীয় সংখ্যা নিশ্চিত হতেই আজ সকালে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়। জাঠ অধ্যুষিত রাজ্যে খট্টরকে সামনে রেখে ভোটে যাওয়ার কৌশল ধাক্কা খেলেও আজ বৈঠকে শেষ পর্যন্ত অ-জাঠ নেতা ৬৫ বছরের মনোহরলাল খট্টরকেই দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয় দল। তার পরেই রাজ্যপাল সত্যদেও আর্যের সঙ্গে দেখা করে সরকার গড়ার দাবি জানান খট্টর। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির ৪০ জন ছাড়াও দুষ্মন্তের দলের ১০ জন ও সাত জন নির্দল বিধায়কের সমর্থন আমাদের সঙ্গে রয়েছে। রাজ্যপাল তার ভিত্তিতে আমায় সরকার গড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’’ ঘটনাচক্রে দুষ্মন্তের দল বিজেপির শরিক হতেই আজ তিহাড় জেল থেকে দু’সপ্তাহের ছুটি পেয়েছেন শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে জেলে বন্দি থাকা দুষ্মন্তের বাবা অজয় চৌটালা। বিরোধীরা এ নিয়ে আক্রমণ শানিয়ে বলেছে, ক্ষমতা পেতে বিজেপি এ ভাবেই বারবার দুর্নীতির সঙ্গে আপস করেছে। এই প্রসঙ্গে আজ ফের বিতর্কিত বিধায়ক গোপাল কান্ডার কথা উঠলে হরিয়ানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘আমাদের প্রয়োজনীয় সমর্থন রয়েছে। তাই কান্ডার সমর্থন নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।’’

ভোটের ফলাফলেই স্পষ্ট, হরিয়ানাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন অধিকাংশ মন্ত্রীই। কংগ্রেসের বক্তব্য, হরিয়ানার ভোটে সে রাজ্যের মানুষ খট্টর তথা বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যে অনাস্থা প্রকাশ করেছে, তা স্পষ্ট। কিন্তু তার পরেও খট্টরকে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না বিজেপির। বিজেপি শিবিরের ব্যাখ্যা, জয়ী মুখ্যমন্ত্রীকে পরিবর্তন করার অর্থই হল ওই রাজ্যে নীতিগত ভাবে দল যে হেরে গিয়েছে তা প্রকাশ্যে মেনে নেওয়া। তাই বাধ্য হয়ে অ-জাঠ খট্টরেই ভরসা রাখতে হয়েছে দলকে। জাঠ-মুখ হিসেবে থাকছেন দুষ্মন্ত।

Advertisement

আগামিকাল দুপুরে হরিয়ানা রাজভবনে শপথ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে খট্টর ও উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত শপথ নিতে চলেছেন। উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়া একটি পূর্ণমন্ত্রী ও দু’টি প্রতিমন্ত্রীর পদ পেতে পারে দুষ্মন্তের দল। তবে নির্দল বিধায়কদের মধ্যে থেকে পূর্ণমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা কম। এক বা দু’জন নির্দলকে প্রতিমন্ত্রী করার বিষয়ে রাত পর্যন্ত দর কষাকষি চলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন