জ়িপলাইনের সাহায্যে উদ্ধার করা হচ্ছে পুণ্য়ার্থীদের। ছবি: এক্স।
হিমাচল প্রদেশের কিন্নৌর কৈলাসধামের পথে পাড়ি দিয়েছিলেন বহু পুণ্যার্থী। আচমকা মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা বানের সৃষ্টি হয়! জলের তোড়ে ভেসে যায় টাংলিং নালার উপরের অস্থায়ী সেতু। আটকে পড়েন বহু পুণ্যার্থী। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তৎপরতায় শেষমেশ জ়িপলাইনের সাহায্যে উদ্ধার করা হয় চারশোরও বেশি পুণ্যার্থীকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে হিমাচল প্রদেশের কিন্নৌর জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বান নামে। ওই সময় কিন্নৌর কৈলাস ট্রেকিং রুটে ৪১৩ জন পুণ্যার্থী ছিলেন। তখনই আচমকা হড়পা বানের তোড়ে ভেসে যায় পথের দু’টি সেতু। আটকে পড়েন পুণ্যার্থীরা। টংলিং নালার একটি সেতুও ভেসে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) এবং জেলা প্রশাসনের উদ্ধারকারী দল। শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। পর্বতারোহণ এবং ‘রোপ রেসকিউ অ্যান্ড ক্লাইম্বিং’ (আরআরসি)-এর সরঞ্জাম নিয়ে আসেন প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারীরা। পর্বতারোহণের বুট, ক্র্যাম্পন, আইস-অ্যাক্স, দড়ি, হারনেস প্রভৃতির সাহায্যে শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। শেষমেশ জ়িপলাইনের সাহায্যে ফুঁসতে থাকা নদী পার করিয়ে পুণ্যার্থীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইতিমধ্যে আইটিবিপি উদ্ধার অভিযানের নানা দৃশ্য সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছে। তার একটিতে দেখা যাচ্ছে, পুণ্যার্থীদের জ়িপলাইনে করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ভাবে মোট ৪১৩ জন পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এসডিএমএ) একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের ২০ জুন থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে হিমাচল প্রদেশে নানা দুর্ঘটনায় ১৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে ফের ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলে। জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। হিমাচল প্রদেশের সোলান জেলা মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। চাক্কি মোড়ে হাইওয়ে বন্ধ। বুধবার সকালে ভূমিধসের কারণে চণ্ডীগড়-শিমলা জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধসের জেরে বন্ধ চণ্ডীগড়-মানালি হাইওয়েও।