কাশ্মীরে ঘরে ফিরেছে ৫০ জঙ্গি, দাবি সেনার

সেনা জানিয়েছে, সম্প্রতি উপত্যকার কিছু যুবক ফের নিখোঁজ হতে শুরু করে। তারা জঙ্গি দলে যোগ দিচ্ছে বলেই আশঙ্কা ছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৪৮
Share:

ছবি: রয়টার্স।

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে স্থানীয় যুবকদের মধ্যে জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বলে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আজ সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, চলতি বছরে মায়ের অনুরোধে জঙ্গি দল ছেড়ে ঘরে ফিরেছেন অন্তত ৫০ জন কাশ্মীরি যুবক। এই ঘটনাকে বড় সাফল্য বলেই মনে করছে সেনা।

Advertisement

সেনা জানিয়েছে, সম্প্রতি উপত্যকার কিছু যুবক ফের নিখোঁজ হতে শুরু করে। তারা জঙ্গি দলে যোগ দিচ্ছে বলেই আশঙ্কা ছিল। ১৫ নম্বর কোরের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল কানওয়ালজিৎ সিংহ ধীলোঁর নেতৃত্বে ওই যুবকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে সেনা। ধীলোঁর বক্তব্য, ‘‘মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থেই মা-বাবাকে সেবা করার কথা রয়েছে। পরিবারের মাধ্যমে ওই যুবকদের সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি আমরা।’’ কয়েক জন ফিরে আসা যুবকের মা-বাবার কাছ থেকে পাওয়া বার্তাও সাংবাদিকদের দেখান ধীলোঁ। তিনি বলেন, ‘‘উপত্যকার এই বাসিন্দারা আমাদের অমূল্য উপহার দিয়েছেন।’’

ধীলোঁর দাবি, চলতি বছরে বেশ কয়েক বার সংঘর্ষ মাঝ পথে থামিয়ে স্থানীয় জঙ্গিদের মায়ের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিয়েছে সেনা। অনেক ক্ষেত্রেই মায়ের অনুরোধে তাঁর কাছে ফিরেছে ছেলে। ধীলোঁর কথায়, ‘‘নিহত জঙ্গিদের সংখ্যা সব সময়ে গুনি না। বরং কত জনকে তাদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি সেই হিসেব করি।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই যুবকেরা আত্মসমর্পণ করছে বলে মনে করি না। আমি মনে করি ওরা ফিরে আসছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: নাগরিক পঞ্জি ভবিষ্যতের ভিত্তি, বক্তব্য প্রধান বিচারপতির

সেনা সূত্রের দাবি, যে সব যুবক জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছে তাদের মধ্যে ৮৩ শতাংশই আগে পাথর ছোড়ায় জড়িত ছিল। ধীলোঁর কথায়, ‘‘জঙ্গি দলে যে সব যুবক যোগ দেয় তাদের মধ্যে ৭% প্রথম ১০ দিনে নিহত হয়। ৯% নিহত হয় এক মাসে। তিন মাসের মধ্যে নিহত হয় ১৭%। ৬ মাসে ৩৬%। এক বছরে ৬৪%।’’ তাঁর দাবি, কোনও কাশ্মীরি যুবক বন্দুক হাতে নেওয়ার এক বছরের মধ্যে নিহত হয়। ধীলোঁর বক্তব্য, ‘‘আমি নিশ্চিত কোনও বাবাই তাঁর ছেলের কফিন কাঁধে নিতে চান না। সে কথা মাথায় রেখেই আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের এই অভিযান শুরু করেছিলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন