ছত্তীসগঢ়ে আত্মসমর্পণ করলেন মাওবাদী নেত্রী। —প্রতীকী ছবি।
ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনে খুব সক্রিয় ছিলেন তিনি। পূর্ব বস্তার ডিভিশনের মাওবাদীদের অন্যতম মহিলা টিম কমান্ডার গীতা এ বার আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর গতিবিধির উপর অনেক দিন ধরেই নজর ছিল নিরাপত্তাবাহিনীর। কিন্তু তাঁকে ধরা যায়নি। তাঁর খবর দিলে পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা করেছিল ছত্তীসগঢ় সরকার।
শনিবার পূর্ব বস্তার ডিভিশনের পুলিশ সুপার অক্ষয় কুমারের কাছে আত্মসমর্পণ করেন গীতা। কেন তিনি আত্মসমর্পণ করলেন? তাঁর দাবি, মাওবাদীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রতি হতাশা তৈরি হয়েছিল। একই সঙ্গে পর পর আত্মসমর্পণের ঘটনাও নাড়া দিয়েছিল তাঁকে। সেই সব চিন্তা থেকেই শনিবার আত্মসমর্পণ করে মূলস্রোতে ফেরার দিকে পা বাড়ালেন গীতা।
শুক্রবার ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনের জগদলপুরের সদরে আত্মসমর্পণ করেন ২১০ জন মাওবাদী। সাম্প্রতিক সময়ে একসঙ্গে এত মাওবাদীর আত্মসমর্পণের কথা মনে করতে পারছেন না অনেকে। শুধু আত্মসমর্পণ নয়, ১৫৩টি অস্ত্র হস্তান্তর করেন মাওবাদীরা, যার মধ্যে ছিল একে৪৭ থেকে গ্রেনেড লঞ্চারও। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাইয়ের উপস্থিতিতে শুক্রবার আত্মসমর্পণ করেন ২১০ জন মাওবাদী। সেই ধারায় পা মেলালেন গীতা। সরকারের তরফে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা এবং পুনর্বাসনের সুবিধা প্রদান করে। বুধ, বৃহস্পতি, শুক্রবার— পর পর তিন দিন প্রায় ৪৫০ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেন।
নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র নেতা-কর্মীদের বার বার মূলস্রোতে ফিরে আসার বার্তা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি মাওবাদীদের উদ্দেশে এ-ও জানিয়েছিলেন, আত্মসমর্পণ করে মাওবাদীরা যদি মূলস্রোতে ফিরতে চান, তবে সকলকে স্বাগত। কেউ যদি অস্ত্র ছাড়তে না-চান, তবে নিরাপত্তাবাহিনীর রোষের মুখে পড়তে হবে বলেও হুঁশিরারিও দেন শাহ। তিনি এ-ও দাবি করেছেন, আগামী বছর ৩১ মার্চের মধ্যে গোটা দেশ মাওবাদীমুক্ত হবে।