রাজ্যের সীমানা আবার মাওবাদী নিশানায়

সুকমা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর নজর ঘোরাতে এখন নতুন এলাকায় শক্তিবৃদ্ধি করতে চাইছে মাওবাদীরা। ছত্তীসগঢ়ে পরপর দু’টি হামলার পরে রাজ্যের দাবি মেনে ‘মিশন সুকমা’ হাতে নেওয়ার পক্ষে কেন্দ্রও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৭ ০৩:৫১
Share:

ফাইল চিত্র।

সুকমা থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর নজর ঘোরাতে এখন নতুন এলাকায় শক্তিবৃদ্ধি করতে চাইছে মাওবাদীরা।

Advertisement

ছত্তীসগঢ়ে পরপর দু’টি হামলার পরে রাজ্যের দাবি মেনে ‘মিশন সুকমা’ হাতে নেওয়ার পক্ষে কেন্দ্রও। খুব দ্রুত ওই এলাকায় বড় মাপের অভিযান চালাতে চলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর তা আঁচ করেই নতুন এলাকায় নিজেদের ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ওই রাজ্যের মাওবাদীরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, সম্প্রতি মাওবাদীদের দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটি ছত্তীসগঢ়-মধ্যপ্রদেশ-মহারাষ্ট্র এই তিন রাজ্যের সংযোগস্থলে গতিবিধি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘মাওবাদীরা নতুন নতুন জায়গায় নিজেদের প্রভাব বাড়াতে চাইছে। যাতে সেই এলাকাগুলিতেও নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে আঘাত হানা সম্ভব হয়। এর ফলে নিরাপত্তা বাহিনীকে নানান জায়গায় মনোযোগ দিতে হবে। স্বাভাবিক ভাবে বাহিনীর শক্তি ভাগ হয়ে যাবে।’’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তার মতে, বস্তার-সুকমা এলাকায় যতটা তীব্রতায় আক্রমণ চালানোর কথা ভাবছে কেন্দ্র, ততটা শক্তি নিয়ে নিরাপত্তাবাহিনী যাতে আক্রমণ না চালাতে পারে, সেটাই চাইছে মাওবাদীরা।’’

নিজেদের পরিকল্পনা রূপায়ণে পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি বা পিএলজিএ-র ৬০ জন ক্যাডারকে সম্প্রতি তিন রাজ্যের সীমানায় পাঠিয়েছে দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটি। যাদের কাজ হল, স্থানীয় গ্রামবাসীদের নিজেদের পক্ষে নিয়ে এসে ওই এলাকায় মাওবাদীদের শক্তিশালী ঘাঁটি তৈরি করা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, শুধু ওই এলাকায় নয়, পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়-ঝাড়খণ্ডের সীমানায় নজরদারির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে নতুন করে নিজেদের অবস্থান মজবুত করার পরিকল্পনা নিয়েছে মাওবাদীরা।

Advertisement

যে ভাবে নতুন করে মাওবাদীরা শক্তি সঞ্চয় ও এলাকা দখলে নেমেছে, তাতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মাওবাদী হামলায় এখনও পর্যন্ত দেশের প্রায় ১২ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন। যাদের মধ্যে প্রায় ২৭০০ জন নিরাপত্তাকর্মী। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সংগঠিত সশস্ত্র বাহিনীর প্রশ্নে আইএস, বোকো হারাম, লস্করের মতো সংগঠনগুলির তালিকায় পাঁচ নম্বরে মাওবাদীরা। মাওবাদীদের নতুন করে শক্তিবৃদ্ধি রুখতে গত কালের বৈঠকে বিহার, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিদের নিয়ে রণনীতি নেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন