Maoist Attack

ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুরে আবার মাওবাদী হামলা, ‘পুলিশের চর’ তকমা দিয়ে খুন দুই শিক্ষককে

বিজাপুরের ফরেসগড় থানা এলাকায় সরকারি স্কুলে অস্থায়ী পরিদর্শনকারী শিক্ষক হিসেবে ‘শিক্ষাদূত’ নামে কর্মরত ছিলেন বিনোদ মাডে এবং সরেশ মেট্টে নামে নিহত দুই গ্রামবাসী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫ ২১:১৪
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এক মাসের মধ্যে তৃতীয় বার মাওবাদী সন্ত্রাসের শিকার হল ছত্তীসগঢ়ের বিজাপুর। ‘পুলিশের চর’ তকমা দিয়ে আবার খুন করা হল গ্রামবাদীদের। এ বার মাওবাদী হামলার শিকার হলেন দুই স্কুলশিক্ষক।

Advertisement

বিজাপুর জেলা পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে ফরেসগড় থানা এলাকার পাশাপাশি দুই গ্রাম পিল্লুর ও টেকমটায় হানা দেয় নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)। কুপিয়ে খুন করা হয়ে বিনোদ মাডে এবং সরেশ মেট্টে নামে দুই গ্রামবাসীকে। তাঁরা দু’জনেই সরকারি স্কুলে অস্থায়ী পরিদর্শনকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বস্তারের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে স্কুলশিক্ষার প্রসার ঘটাতে ‘শিক্ষাদূত’ নামে এমন পরিদর্শনকারী শিক্ষক নিয়োগ করে সরকার।

এর আগে গত ১৭ জুন বিজাপুর জেলার নয়াপাড়া এলাকায় ১৩ বছরের এক কিশোর-সহ তিন গ্রামবাসীকে ফাঁসিতে লটকে খুন করেছিল। এর পরে গত ২ জুলাই ওই জেলারই উসুর থানা এলাকায় এক গ্রামবাসীকে ‘পুলিশের চর’ তকমা দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছিল পিএলজিএ। অন্য দিকে, মঙ্গলবার তেলঙ্গানায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন প্রথম সারির মাওবাদী দম্পতি অথরাম লচান্না এবং চৌধরি অঙ্কুবাই।

Advertisement

যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের জেরে গত এক বছরে ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনের সাতটি জেলায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মাওবাদীরা। মাওবাদী পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি, সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু ওরফে গগন্না, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নরসিংহচলম ওরফে সুধাকর, চৈতন্য ভেঙ্কট রবি ওরফে অরুণা-সহ একাধিক নেতা-নেত্রী নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। পিএলজিএ-র হাত থেকে বিস্তীর্ণ এলাকা পুনরুদ্ধারও করা হয়েছে। কিন্তু এখনও বস্তার ডিভিশনে ১৬ জন নেতা-নেত্রী-সহ পিএলজিএ-র বেশ কয়েকটি ‘দলম’ সক্রিয় বলে পুলিশের দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement