বিবাহ নিবন্ধিকরণ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব পেশ করেছে কেন্দ্রীয় আইন কমিশন।
আধার কার্ড আছে তো! না হলে কিন্তু এ বার বিয়েও করতে পারবেন না! মোটেই মজা নয়। এমন প্রস্তাবই পেশ করেছে কেন্দ্রীয় আইন কমিশন।
কমিশনের মত, জন্ম ও মৃত্যুর মতো বিবাহ নিবন্ধিকরণ বাধ্যতামূলক করা উচিত। পাশাপাশি, বিবাহের রেজিস্ট্রেশনে যুক্ত করা উচিত আধার নম্বরও। ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ পত্রিকায় প্রকাশিত ওই খবরে আরও জানানো হয়েছে, প্রস্তাব পাশ হলে বিয়ের ৩০ দিনের মধ্যেই তা রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। সময় পেরিয়ে গেলে দিতে হবে জরিমানা। এমনকী, হতে পারে শাস্তিও।
বিবাহ নিবন্ধিকরণ যে বাধ্যতামূলক ভাবেই করতে হবে, এত দিন তেমন কোনও কেন্দ্রীয় আইন ছিল না। তবে পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাবের মতো বেশ কিছু রাজ্যে আলাদা ভাবে বিবাহ নিবন্ধিকরণ বাধ্যতামূলক সংক্রান্ত আইন ছিল। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশেও সেই আইন চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
আরও পড়ুন:
এ বার শুধু সরকারি ভবনেই হবে আধারের ছবি
মারণ নেশা এলএসডিতে আক্রান্ত হায়দরাবাদের পড়ুয়ারা
দ্য টেলিগ্রাফকে কেন্দ্রীয় আইন কমিশনের প্রধান তথা সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বিএস চৌহান বলেন, “ভারতের বিপুল জনসংখ্যা এবং নানা জনগোষ্ঠী। তাই সামাজিক বিয়ের প্রথাগত বৈচিত্রের কারণেই বিবাহ নিবন্ধিকরণ বাধ্যতামূলক করা বেশ কঠিন। তবে সমস্যা যাই থাকুক না কেন, এই আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে তা কখনই অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে না।” এই মতের স্বপক্ষে ২৭০টি রিপোর্ট কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের কাছে জমা দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি, ওই নিবন্ধিকরণের ক্ষেত্রে যাতে আধার নম্বর যুক্ত করা হয়, সে ব্যাপারেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের মত, বাল্যবিবাহ, বিয়ের নামে প্রতারণার মতো একাধিক সামাজিক অপরাধের শিকার হন এ দেশের হাজার হাজার মহিলা। বিবাহের নিবন্ধিকরণ করা না হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মহিলা ও শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সামাজিক নিপীড়ণ এবং বঞ্চনার শিকার হতে হয় তাদের। এই আইনের মাধ্যমে মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।