রামজস কলেজে হামলার ঘটনায় ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের স্বর এখন জেএনইউ ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমা ছাড়িয়ে শোনা যাচ্ছে দেশের অন্য প্রান্তেও। তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজের ছাত্রী গুরমেহের কৌরের টুইটার পোস্ট। গুরমেহের কার্গিল শহিদ ক্যাপ্টেন মনদীপ সিংহের মেয়ে। ফলে জাতীয়তাবাদের প্রশ্নে অস্বস্তিতে বিজেপি।
এবিভিপি-র সঙ্গে অন্য ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষাবিদদের একাংশের নতুন গোলমালের সূত্রপাত হয় গত মঙ্গলবার। দিল্লির রামজস কলেজে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল রাষ্ট্রদ্রোহে অভিযুক্ত জেএনইউ পড়ুয়া উমর খালিদের। তাতে আপত্তি জানিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের উপরে চাপ দেয় এবিভিপি। ফলে অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়। পরের দিন ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে বিরোধী এসএফআই ও আইসা প্রতিবাদ মিছিল বার করলে তাতে লাঠি, রড নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে এবিভিপি-র বিরুদ্ধে। হামলায় ছাত্রদের পাশাপাশি আহত হন শিক্ষকরাও।
প্রতিবাদে দেশ জুড়ে সরব হন শিক্ষাবিদদের একাংশ। রাস্তায় নামেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। কাল লেডি শ্রীরাম কলেজের ছাত্রী গুরমেহের কৌর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেন। তাতে একটি প্ল্যাকার্ড ধরে রয়েছেন তিনি। প্ল্যাকার্ডে লেখা, ‘‘আমি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। আমি এবিভিপি-কে ভয় পাই না। আমি একা নই। দেশের প্রত্যেক পড়ুয়া আমার সঙ্গে আছে।’’ কার্গিল শহিদের মেয়ে গুরমেহেরের বক্তব্য, ‘‘জাতীয়তাবাদের সংজ্ঞা এবিভিপি-র কাছে শিখতে রাজি নয়।’’ ‘স্টুডেন্টস এগেনস্ট এবিভিপি’ নাম দিয়ে ওই বক্তব্যগুলি পোস্ট হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থনের ঢেউ আছড়ে পড়ে। কার্গিল শহিদের মেয়ের এই বক্তব্যের প্রতিবাদে মুখ খোলেননি বিজেপি নেতারা। তবে রামজস কলেজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় সাবিত্রীভাই ফুলে পুণে বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি ও এসএফআই সদস্যরা।
ঘটনার ফায়দা নিতে আসরে নেমেছেন দিল্লির মু্খ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালও। তাঁর দাবি, ‘‘দিল্লি পুলিশ বিজেপির এজেন্ট হিসেবে পড়ুয়াদের উপরে হামলা করেছে।’’