Masood Azhatr

কূটনৈতিক ব্যর্থতা হতে যাবে কেন? মাসুদকে নিয়ে বিরোধীদের তোপ সুষমার

ফেব্রুয়ারি মাসে মাসুদ আজহারের জইশ-ই-মহম্মদই কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা চালায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ২১:২০
Share:

সুষমা স্বরাজ।—ফাইল চিত্র।

রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে ফের খালি হাতে ফিরতে হল ভারতকে। চিন বাগড়া দেওয়ায় এ বারও মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করা যায়নি। একবার, দু’বার নয়, এই নিয়ে চতুর্থবার। তার জেরে বিরোধীদের তোপের মুখে সরকার। গোটা ঘটনাকে মোদী সরকারের ব্যর্থতা বলে তুলে ধরেছে তারা। কিন্তু তাদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তাঁর কথায়,‘‘এতদিন রাষ্ট্রপুঞ্জে একাই লড়ছিল ভারত। কিন্তু এখন গোটা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে আমাদের পাশে।’’

Advertisement

ফেব্রুয়ারি মাসে মাসুদ আজহারের জইশ-ই-মহম্মদই কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা চালায়। সেই ঘটনার পর একমাস কেটে গেলেও, এখনও পর্যন্ত শাসক-বিরোধী আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণের পালা চলছে। এক দিকে নিরাপত্তায় গাফিলতি এবং কাশ্মীর সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা নিয়ে মোদী সরকারকে তুলোধনা করে চলেছে বিরোধীরা। অন্য দিকে আবার বিরোধীদের পাকদরদী বলে উল্লেখ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

তার মধ্যেই জইশ প্রধান মাসুদকে রাষ্ট্রপুঞ্জে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার প্রচেষ্টা চলছিল। কিন্তু বরাবরের মতো শেষ মুহূর্তে ভেটো দেয় চিন। তার পর থেকেই কেন্দ্রের বিদেশনীতি নিয়ে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়। মাসুদকে নিয়ে চিনের সমর্থন আদায় করতে না পারার ঘটনাকে মোদী সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।

Advertisement

আরও পড়ুন: কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তা খোলা রেখেই ২৫ আসনে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা বামেদের​

আরও পড়ুন: প্রদর্শন বন্ধ করা যাবে না, ‘ভবিষ্যতের ভূত’ নিয়ে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের​

কিন্তু তাঁর মন্তব্যে আপত্তি তোলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। শুক্রবার পর পর বেশ কয়েকটি টুইটে তিনি লেখেন, “মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জে নিষিদ্ধ করা নিয়ে কিছু তথ্য জানাতে চাই। মাসুদকে নিষিদ্ধ করতে এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রপুঞ্জে মোট চারবার আবেদন জানিয়েছে ভারত। ২০০৯ সালে ইউপিএ সরকার একা সেই প্রস্তাব তুলেছিল। ২০১৬ সালে এ ব্যাপারে আমেরিকা, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনেক পাশে পাই আমরা।’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘২০১৭ সালে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সই মাসুদকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব তোলে। ২০১৯-এ সেই সংখ্যাটা এসে দাঁড়ায় ১৪-তে। আমেরিকা, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের তোলা প্রস্তাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি সদস্য দেশ সমর্থন জানায়। এমনকি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য নয় যে দেশগুলি, সেই অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইতালি এবং জাপানও তাতে সমর্থন জানায়।’’

বিদেশমন্ত্রীর যুক্তি, মাসুদকে নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে ভারত। এর পরেও সাম্প্রতিক ঘটনাকে যদি কেউ কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেন, তাহলে ২০০৯ সালের কথা মনে করা উচিত তাঁদের। সেই সময় সম্পূর্ণ একা ছিল ভারত। আজ কিন্তু গোটা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন