রাহুলকে কাশ্মীর-তির মায়াবতীর

মায়াবতী লোকসভা ভোটের পরে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের মহাজোটই ভেঙে দেননি, সার্বিক ভাবে বিজেপি-র প্রতি নরম সঙ্কেত দিচ্ছেন বলে মত রাজনৈতিক শিবিরের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৩৯
Share:

মায়াবতী।

গত সপ্তাহে ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনের উদ্যোগে প্রায় সমস্ত বিরোধী দল কাশ্মীর নিয়ে দিল্লিতে ধর্নায় হাজির থাকলেও লক্ষ্যনীয়ভাবে অনুপস্থিত ছিল বিএসপি। আজ বিএসপি নেত্রী মায়াবতী সাম্প্রতিক কাশ্মীর সফরের জন্য কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীকে কার্যত আক্রমণ করে বসলেন। টুইটে তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই কংগ্রেসের নেতৃত্বে অন্যান্য বিরোধী নেতারা শ্রীনগরে গিয়ে কেন্দ্র এবং সেখানকার রাজ্যপালকে সুযোগ করে দিলেন গোটা বিষয়টির রাজনীতিকরণের।’’ তাঁর বক্তব্য, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু এখন এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে উপত্যকায় গেলে তার পরিণাম কী হবে, সেটা ভাবা উচিত ছিল বিরোধীদের।

Advertisement

মায়াবতী লোকসভা ভোটের পরে শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের মহাজোটই ভেঙে দেননি, সার্বিক ভাবে বিজেপি-র প্রতি নরম সঙ্কেত দিচ্ছেন বলে মত রাজনৈতিক শিবিরের। কারণ, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসা বিজেপি-র পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে চাপও অনেকটাই বেড়েছে। সিবিআই সক্রিয় হয়েছে মায়াবতীর ভাইয়ের আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়েও। কংগ্রেস, এসপি-সহ অনেক বিরোধী দলই মনে করে, মায়াবতী সমঝোতার রাস্তায় হাঁটছেন। আজ রাহুলের বিরুদ্ধে মায়াবতীর সরব হওয়াকে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে দুয়ে দুয়ে চার বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে মায়াবতী আজ এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদবের সুরে সুর মিলিয়ে সমালোচনাও করেছেন সরকারের। বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তাঁদের। লখনউয়ে দলের সদর দফতরে অখিলেশ বলেন, ‘‘বিজেপি-র কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানগুলিকে কী ভাবে হাতে নিয়ে নিতে হয়, তা শেখা উচিত। কোনও সরকার আগে এমন করেনি। ইডি, সিবিআই এবং আতঙ্ক –এটাই এখন নতুন গণতন্ত্র। আয়কর এবং ইডি-কে কাজে লাগিয়ে মোদী সরকার গণতন্ত্রের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করতে চাইছে।’’ মায়াবতী টুইট করে বলেন, ‘‘নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিজেপি সমস্ত তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার করেছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন