Advertisement
MCD

রাজধানী কি মোদীর হাতছাড়া? বুথ ফেরত সমীক্ষায় পুরভোটে কেজরীর জয়ের ইঙ্গিত

যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল সব সময় যে মেলে, তা নয়। কিন্তু জনমত যাচাইয়ের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাকায়, এই সমীক্ষাকে অস্বীকার করাও যায় না বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করেন।

দিল্লি পুরসভার ভোটগণনা হবে মঙ্গলবার। বুথ ফেরত সমীক্ষায় এগিয়ে আপ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:০৯
Share:

দিল্লি সরকার হাতছাড়া হয়েছিল প্রায় ২৫ বছর আগে। বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, ১৫ বছর পরে দিল্লি পুরসভাতেও ক্ষমতা হারাতে বলছে বিজেপি। সেখানে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ) গরিষ্ঠতা পেতে পারে বলে একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস।

২৫০ আসনের দিল্লি পুরসভায় গরিষ্ঠতা পেতে গেলে ১২৬টি আসনের প্রয়োজন। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার বুথ ফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস, আপ ১৪৯-১৭১, বিজেপি ৬৯-৯১, কংগ্রেস ৩-৭ এবং নির্দল ও অন্যেরা ৫-৯টি আসন পেতে পারে। ইটিজি-টিএনএন-এর সমীক্ষা অনুযায়ী আপ ১৪৬-১৫৬, বিজেপি ৮৪-৯৪, কংগ্রেস ৬-১০ এবং নির্দল ও অন্যেরা ০-৪টি আসনে জিততে পারে। জন কি বাত-এর জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী আপ ১৫৯-১৭৫, বিজেপি ৭০-৯২ এবং কংগ্রেস ৪-৭টি ওয়ার্ডে আসনে জিততে পারে।

Advertisement

যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল সব সময় যে মেলে, তা নয়। কিন্তু জনমত যাচাইয়ের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাকায়, এই সমীক্ষাকে অস্বীকার করাও যায় না বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করেন। আগামী বুধবার (৭ ডিসেম্বর) গণনার পরেই সামনে আসবে আসল ফল।

প্রসঙ্গত, ২০১৭-র এমসিডি ভোটে দিল্লির তৎকালীন তিনটি পুরনিগমের মোট ২৭২টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ১৮১টিতে। আপ পেয়েছিল ৪৮ এবং কংগ্রেস ২৭টি ওয়ার্ড।

Advertising
Advertising

গত ফেব্রুয়ারিতে পঞ্জাবে সরকার গঠনের পরেই বিজেপির থেকে দিল্লির ৩টি পুরসভা ছিনিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল কেজরীওয়ালের দল। আপের সেই আশায় জল ঢালতেই নরেন্দ্র মোদী সরকার মার্চ মাসে দিল্লির ৩টি পুরসভাকে ফের মিশিয়ে দিয়ে একটি পুরসভা গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত।

এ বারের পুরভোটে কার্যত নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকারের’ স্লোগান ধার করেই দিল্লির উন্নয়নের জন্য বিধানসভা ও পুরসভায় এক দলকে রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন কেজরীওয়াল। গত ৭ বছরে তাঁর সরকারের আমলে দিল্লির স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় যে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে, তার উদাহরণ তুলে ধরার পাশাপাশি, বিজেপি পরিচালিত পুরনিগমের ‘জঞ্জাল সাফাইয়ে ব্যর্থতা’র কথা তুলে ধরেছিলেন তিনি। অন্য দিকে, বিজেপির তরফে কেজরী সরকারের দুর্নীতি এবং জেলবন্দি মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে বেআইনি সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ তুলে ধরে প্রচার চালানো হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও পড়ুন
Advertisement