তিন দিন আগে দিল্লিতে বিজেপির সঙ্গে আলোচনার পর মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে ফের বৈঠকে বসছেন আরএসএস নেতৃত্ব। এ বার মোহন ভাগবতও থাকছেন বৈঠকে।
আরএসএস সূত্রের মতে, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য সঙ্ঘের বিভিন্ন সংগঠনকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সেই হিসেবে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও পৌঁছতে পারেন উজ্জয়িনীতে। কিন্তু সংসদে আগামী তিন দিন ব্যস্ত থাকার জন্য অমিত কবে যাবেন, তা এখনও নিশ্চিত করে জানায়নি বিজেপি। কাল থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের কর্মসূচিতে মোহন ভাগবত ছাড়াও সুরেশ ভাইয়াজি জোশী, দত্তাত্রেয় হোসাবোলে, কৃষ্ণগোপালের মতো সঙ্ঘের শীর্ষ নেতারা হাজির থাকবেন।
দিল্লির বৈঠকে শুধু অমিত শাহ নন, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে তলব করেও কৃষি, রোজগার-সহ নানা ক্ষেত্রে তৈরি হওয়া অসন্তোষ নিয়েও সতর্ক করেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব। সঙ্ঘের মত, কৃষক ও যুবকদের মধ্যে যে অসন্তোষ বাড়ছে, গুজরাতের ভোটের আগেই তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। দিল্লিতেও সঙ্ঘের বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলনে নামে। সামনে কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা ভোটের আগে যদি পরিস্থিতি সামাল দেওয়া না যায়, তা হলে খেসারত দিতে হতে পারে বিজেপিকে।
এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে সঙ্ঘ ও তার বিভিন্ন সংগঠন কী কর্মসূচি নিয়ে এগোবে, তা স্থির করতেই শীর্ষ স্তরের বৈঠক হচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক, ছোট-মাঝারি শিল্পের মতো প্রায় সব ক্ষেত্রেই সঙ্ঘের সংগঠন সক্রিয়। আগামী দিনে এরা কোন পথে চলবে, তা নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা হবে সেখানে। তার উপর মার্চ মাসেই রয়েছে সঙ্ঘের নির্বাচন। সূত্রের মতে, ভোটের আগে সঙ্ঘে খুব বেশি বদলেরও পক্ষপাতী নন ভাগবত। যে কোনও নির্বাচনে বিজেপি সাংগঠনিক ভাবে লড়লেও নেপথ্যে সক্রিয় থাকে আরএসএস। তাই সামনে বড় ভোটের আগে বড় বদল চান না সরসঙ্ঘচালক।
শারীরিক কারণে ভাইয়াজি জোশীকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। কিন্তু ভাগবত তাঁকে বহাল রাখারই পক্ষে।