(বাঁ দিকে) সোনম রাজবংশী। (ডান দিকে) সোনমের স্বামী রাজা। তাঁকে খুনের অভিযোগে ধৃত সোনম। ফাইল চিত্র।
রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে নয়া তথ্য উঠে এল। পুলিশ জানিয়েছে, রাজাকে খুন করতে যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই অস্ত্র থেকে প্রমাণ লোপাটে রক্তের দাগ মোছার জন্য কোনও কাপড় বা কাগজ ব্যবহার করেননি সোনম এবং বাকি অভিযুক্তেরা। পুলিশ যাতে কোনও সূত্র না পায়, সে জন্য গাছের পাতা এবং জংলি ঘাস দিয়ে অস্ত্র থেকে রক্তের দাগ মুছে ফেলা হয়েছিল। আর এই কাজটা করা হয়েছে খুব সচেতন এবং সতর্ক ভাবেই।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, পুরো পকিরল্পনা করেই রাজাকে খুন করা হয়েছে। তবে তদন্তে নেমে যে বিষয়টি পুলিশকে স্তম্ভিত করেছে সেটি হল, খুনের পর সোনম নিজে খুনের অস্ত্র থেকে রক্ত মুছে ফেলেছিলেন। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, রাজা কোথায় রয়েছে, তাঁর অবস্থান যাতে চিহ্নিত করা না যায়, তার জন্য খুনের পর ওই অস্ত্র দিয়েই রাজার মোবাইল ফোন নষ্ট করে দেন সোনম। পুলিশ সূত্রে খবর, আরও এক অভিযুক্ত আকাশ তাঁর রক্তমাখা জামা খাদে ফেলে দেন। ভাড়াটে খুন ভিকিকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন সোনম। তার পর বোরখা পরে তিনি শিলং ছেড়ে পালান।
পুলিশ জানিয়েছে, শিলং থেকে বেশ কয়েকটি রাস্তা বদল করে ইনদওর পৌঁছোন সোনম। সেখানে ৩-৪ দিন তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার বাড়িতে ছিলেন। কারণ সেই সময় বাড়িতে রাজের মা এবং বোন ছিলেন না। ৩-৪ দিন পর সোনমকে ইনদওরের দেবাসের একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যান রাজ। সেখানে পৌঁছে নিজের মোবাইলের সিম খুলে রাজকে দিয়েছিলেন সেনম। তাঁর জন্য নতুন একটি সিমকার্ডের ব্যবস্থা করেন রাজ। ইনদওরের যে ফ্ল্যাটে সোনমকে নিয়ে গিয়েছিলেন, সেটি আর এক অভিযুক্ত ভিকির। তিনি যখন বাইরে যেতেন, ফ্ল্যাটে তালা দিয়ে যেতেন, যাতে কেউ টের না পান ভিতরে কেউ আছেন।
সোনম, রাজ, বিশাল, আকশ এবং আনন্দ— এই পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে৭৯০ পাতার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। আরও তিন অভিযুক্ত শিলম জেমস, লোকেন্দ্র তোমর এবং বলবীর আহিরওয়ারের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করে জমা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, গত মে মাসে রাজাকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর স্ত্রী সোনমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সোনম এবং তাঁর প্রেমিক মিলে ভাড়াটে খুনি দিয়ে রাজাকে খুন করিয়েছেন। তার পর তাঁর দেহ খাদে ফেলে দিয়েছেন।