meghalaya

Meghalaya : বারোর তৃণমূলে যাওয়া বৈধ, ব্রাত্য কংগ্রেসের বাকি ৫

কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়কের তৃণমূলে যোগদান সংবিধানের দশম তফসিলের চার নম্বর পরিচ্ছেদ অনুযায়ী বৈধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৪০
Share:

ফাইল ছবি

মেঘালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবেই প্রধান বিরোধী দল হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতা হলেন মুকুল সাংমা। ১২ জন কংগ্রেস বিধায়কের তৃণমূলে যোগদানে সিলমোহর দিলেন স্পিকার মেটবা লিংডো। কংগ্রেসের বাকি পাঁচ বিধায়ক এনপিপি-বিজেপি সরকারকে বিষয়ভিত্তিক সমর্থন দিতে চাইলেও বিজেপি স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এমন সমর্থন নেওয়ায় তাদের আপত্তি আছে। ওই বিধায়করা শাসক জোটের কোনও দলে যোগ না দেওয়া পর্যন্ত কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

Advertisement

কংগ্রেস দলত্যাগী ১২ জনের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়েছিল স্পিকারের কাছে। বিষয়টি নিয়ে অসম বিধানসভার স্পিকার ও আইনজ্ঞদের সাহায্য নেন মেঘালয় বিধানসভার স্পিকার। বৃহস্পতিবার বিধানসভার তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়, স্পিকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়কের তৃণমূলে যোগদান সংবিধানের দশম তফসিলের চার নম্বর পরিচ্ছেদ অনুযায়ী বৈধ। তাই তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করার প্রশ্ন উঠছে না।

প্রদেশ তৃণমূলের সভাপতি চার্লস পিংরোপ নিজেও স্পিকার ছিলেন। তিনি বর্তমান স্পিকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “তৃণমূলে যোগদান যে বৈধ ছিল, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই এগিয়েছিলাম আমরা।” বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা বলেন, “১২ জন বিধায়ক সব দিক বিচার করে, স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ও নিয়ম মেনেই সে কথা স্পিকারকে জানিয়েছিলেন। কংগ্রেস খামোকাই মুখরক্ষার জন্য স্পিকারের কাছে নালিশ ঠুকেছিল।”

Advertisement

রাজ্য তৃণমূলের মতে, অস্তিত্বের সঙ্কটে ভোগা কংগ্রেসের মুখ এই ঘটনায় আরও পুড়ল। প্রদেশ কংগ্রেস জানায়, স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ করবে।

এ দিকে কংগ্রেসের অবশিষ্ট ৫ বিধায়ক রাজ্যের এনপিপি-বিজেপি জোট সরকারকে বিষয়ভিত্তিক সমর্থন দেওয়ার কথা জানানোয় তাঁদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। কিন্তু জোট শরিক বিজেপি জানায়, কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলায় তাদের আপত্তি রয়েছে। প্রদেশ বিজেপির সভাপতি আর্নেস্ট মাওরি বলেন, “ইনারলাইন পারমিট হোক বা অন্য যে কোনও বিষয়ে, শাসক জোট নিজেরাই কাজ করতে পারবে। আমাদের কংগ্রেসের তরফে বিষয়ভিত্তিক সমর্থনের প্রয়োজন নেই।” তিনি বলেন, “পাঁচ কংগ্রেস বিধায়কের সরকারকে সমর্থন করার পদক্ষেপ আদতে তাঁদের কংগ্রেস ছেড়ে সরকারের শরিক হওয়ার ইচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু যত ক্ষণ না কংগ্রেস বিধায়করা দল ছেড়ে শাসক জোটের কোনও দলে যোগ দিচ্ছেন, তত ক্ষণ কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি এক জোটে থেকে কাজ করবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন