নীরব মোদী-কাণ্ডে ‘সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস’-এর তদন্তের আওতায় থাকা কোম্পানিগুলির মধ্যে চারটির সঙ্গে এ রাজ্যের নাম উঠে এসেছে। সেই তালিকায় রয়েছে একই নামে দু’টি সংস্থার অস্তিত্ব। কর্পোরেট আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ ভাবে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনে ‘রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজ’-এর (আরওসি) তালিকায় এক নামে দু’টি সংস্থার অস্তিত্ব থাকার কথা নয়।
সংশ্লিষ্ট নথি থেকে জানা যাচ্ছে, ‘বিনানি মেটালস লিমিটেড’ নামে সংস্থা দু’টি কলকাতা আরওসি’র অধীনে রেজিস্ট্রিকৃত। দু’টি সংস্থার রেজিস্ট্রি হওয়ার দিনও এক— ১৯৪১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। যদিও তাদের কর্পোরেট আইডেনটিটি নম্বর (সিআইএন) এবং ঠিকানা আলাদা। একটির ঠিকানা হাওড়ার ফোরশোর রোড, অন্যটির নিউ টাউনের চিনার পার্ক। ফোরশোর রোডের সংস্থাটি বন্ধ (স্ট্রাইক-অফ) হয়ে গিয়েছে। চিনার পার্কের সংস্থাটি এখনও চললেও ২০১৫ সালের ১৯ ডিসেম্বরের পর থেকে সেটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করার তথ্য নথিভুক্ত নেই।
রাজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকা অন্য দু’টি সংস্থা হল ‘কলকাতা অ্যাক্সিস মল লিমিটেড’ এবং ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল সেজ লিমিটেড’। মুম্বই আরওসি-র অধীনে রেজিস্ট্রিকৃত এই দু’টি সংস্থাতেই তিন জন ডিরেক্টরের মধ্যে রয়েছে মেহুল চোক্সীর স্ত্রী প্রীতির নাম। তবে দু’টি কোম্পানিই ২০১১ সালের পরে বন্ধ (স্ট্রাইক-অফ) হয়ে গিয়েছে। ২০০৭ সালে রাজ্যের তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনের কাছে বিশেষ আর্থিক অঞ্চল (সেজ) তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘গীতাঞ্জলি’। শেষ পর্যন্ত ওই প্রকল্প তারা করেনি।
আরও পড়ুন: গরিব মরে, কেন ছাড় পায় ধনীরা
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বন্ধ হওয়া সংস্থাগুলিকেও তদন্তের আওতায় এনে আরও গভীরে গিয়ে অপরাধের সন্ধান করতে চায় কেন্দ্র। কারণ, এসএফআইও-কে কেন্দ্র লিখিত ভাবে জানিয়েছে, সন্দেহের তালিকায় থাকা ১০৭টি সংস্থার প্রকৃত মালিক, ছদ্ম মালিক, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে উপকৃত কারা, সংস্থাগুলির মধ্যে পুঁজির হাতবদল কী ভাবে হয়েছে— সব কিছু নিয়েই তদন্ত করতে হবে।