আচমকা বদলে গেল কাছাড় জেলা বিজেপির ছবি।
কৌশিক রাইয়ের জায়গায় দল নতুন সভাপতি হিসেবে উদয়শঙ্কর গোস্বামীকে মনোনীত করেছে। বদল শুধু এইটুকুই নয়। মেমো গোঁসাই নামে পরিচিত উদয়শঙ্করবাবু সভাপতি হচ্ছেন, তা মোটামুটি পা কাই ছিল। কারণ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, পূর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য ও ডেপুটি স্পিকার দিলীপকুমার পাল জোট বেঁধে তাঁর কথা সুপারিশ করেন। কৌশিকবাবুর পক্ষে ছিলেন প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক রাজদীপ রায় ও তাঁর গোষ্ঠী। পুরপ্রধান নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর, যুব মোর্চার সভাপতি রাজেশ দাস-রাও দিলীপবাবুর বিরোধিতায় বেশ কিছুদিন থেকে রাজদীপ শিবিরে সক্রিয়।
জেলা বিজেপির চেহারা বদলের শুরু মেমো গোঁসাইয়ের নিযুক্তির পরবর্তী পর্বে। আগের সাংগঠনিক নির্বাচনে ১ ভোটে মেমো গোঁসাইকে পরাস্ত করে সভাপতি হয়েছিলেন কৌশিকবাবু। কাল নতুন সভাপতির কথা সব চেয়ে বেশি প্রচার করেন কৌশিক বাবুই। তিনি এখন বেনারসে। সেখান থেকে সোশাল মিডিয়ায় তিনিই এই খবরের নিশ্চয়তা প্রদান করেন। ফোন করেন উদয়শঙ্করবাবুকে। দায়িত্ব হস্তান্তরের দিন স্থির করতে অনুরোধ করেন তাঁকে।
নতুন সভাপতির জন্য চমক অপেক্ষা করছিল আজ সকালেও। যুব মোর্চার কর্মীরা সকাল থেকে ফোনে তাঁকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন অফিসে আসার জন্য। এসে দেখেন, তাঁকে স্বাগত জানাতে যাঁরা উপস্থিত তাঁদের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছেন রাজদীপ রায়, নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর, রাজেশ দাস।
মেমো গোঁসাই অবশ্য আগেও একবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন দলে সংঘাত ছিল কবীন্দ্র পুরকায়স্থ ও বিমলাংশু রায়ের মধ্যে। মেমোবাবু আজ সেই দিনগুলির কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই জনকে দুই দিকে রেখে আগের বার যেভাবে দল পরিচালনায় সফল হয়েছিলেন, এ বারও তাই হবেন। প্রথম দিনেই অবশ্য এর ইঙ্গিত মিলেছে।
মেমোবাবুর কথায়, এখন দল সরকারে এসেছে। সংগঠনের পরিসর বেড়েছে। ফলে পরিস্থিতি বদলেছে। তবু তিনি মিলেমিশে দল চালানোর ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রদেশ স্তরে সবাই এখন শৃঙ্খলা নিয়ে বেশ কড়া মনোভাব গ্রহণ করেছেন। এরই প্রতিফলন কি আজকের ‘স্বাগত কর্মসূচি’-তে? স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি মেমোবাবু। শুধু বলেন, সবার সহযোগিতা চাই। কর্মঠ, আত্মত্যাগীদের টিম গড়ব। প্রথমে ছোট কমিটি গড়ে কাজ করব। পরে বুঝেশুনে পূর্ণাঙ্গ চেহারা দেওয়া হবে। সব অবস্থায় শাসক দলকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার অঙ্গীকার করেন তিনি।