এত দিন যা ছিল ফিসফিস, মায়েদের নীরবে চোখ-রাঙানো বারণ, এ বার সেটাই প্রকাশ্যে ঘোষণা করে দিলেন তিনি! ঋতুমতী মহিলা নাকি অপবিত্র! তাই সেই সময়ে ধর্মস্থানের মতো পবিত্র জায়গায় তাঁদের যাওয়া উচিত নয়।
তিনি কেরলের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি এম এম হাসান। সোমবার যুব কল্যাণ বোর্ড আয়োজিত এক মিডিয়া শিবিরে পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলাদের ধর্মস্থানে প্রবেশ উচিত নয়। সেই সময় তাঁরা অপবিত্র।’’
হাসানের মন্তব্যের পরই শোরগোল ওঠে পড়ুয়াদের মধ্যে। বিতর্কের মুখে পড়েন হাসান। পড়ুয়ারা তাঁর দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়, ঠিক কোন ব্যাপারটাকে উনি অপবিত্র মনে করছেন? রক্ত? নাকি যে অঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হয় সেই অঙ্গকে? যদি উনি দুটোকেই অপবিত্র মনে করেন তাহলে উনি নিজেও অপবিত্র। কারণ ওঁর জন্মও সেই অঙ্গ ও রক্ত থেকেই হয়েছে!
আরও পড়ুন: আত্মহত্যার চেষ্টা ‘অপরাধ’ নয়, নতুন মনোস্বাস্থ্য বিল লোকসভাতেও পাশ
গোটা পৃথিবী জুড়েই ঋতুস্রাব নিয়ে রয়েছে নানা রকম বিধি নিষেধ। কোথাও ঋতুমতী হওয়ার পরই মেয়েদের নাক বিঁধিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ, কোথাও গোটা গ্রামের মহিলারা জড়ো হন গ্রামের ঋতুমতী মেয়ের স্নান উদযাপনে। শহুরে শিক্ষিত জীবনেও নানা কোনায় লুকিয়ে রয়েছে সংস্কার। শিক্ষিত, স্বনির্ভর মহিলারাও ঋতুস্রাবের সময় এড়িয়ে চলেন ঠাকুর ঘর, রান্নাঘর। সমাজের চোখ রাঙানি আর অপবিত্র তকমা এখনও বয়ে চলতে হচ্ছে সমাজকেই।