হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী। ভারত থেকে পলাতক এই অভিযুক্ত বর্তমানে বন্দি রয়েছেন লন্ডনে। — ফাইল চিত্র।
নিলামে উঠবে পলাতক হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর মার্সেডিজ় বেন্জ়। সম্প্রতি ওই গাড়ি নিলামে বিক্রি করার জন্য তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-কে অনুমতি দিয়েছে মুম্বইয়ের আদালত। নিলামে উঠবে নীরবের আরও একটি গাড়ি। তার জন্যই আদালত থেকে ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।
নীরবের মোট তিনটি গাড়ি নিলামে তোলার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। এর মধ্যে রয়েছে ‘মার্সেডিজ় বেন্জ় ৪ম্যাটিক এফএল ৩৫০ সিডিআই’ এবং ‘মার্সে়ডিজ় বেন্জ় জিএলই২৫০’। এ ছাড়া একটি ‘স্কোডা সুপার্ব এলিগেন্স’ গাড়িও নিলামে তুলতে চেয়ে আবেদন জানায় ইডি। এই গাড়িগুলির মিলিত বাজার দর এক কোটি টাকারও বেশি। তবে আদালত আপাতত দু’টি গাড়িই নিলামে তোলার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে একটি রয়েছে মার্সেডিজ় বেন্জ় এবং অন্যটি স্কোডার গাড়ি।
পলাতক নীরবের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার ঋণখেলাপির অভিযোগ রয়েছে। দু’টি গাড়ি বিক্রি করে যে টাকা উঠে আসবে, তা প্রতারণার টাকার তুলনায় অনেক কম। তা-ও মুম্বইয়ের আদালত এই দু’টি গাড়ি নিলানে বেচে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
বিচারক এভি গুজরাতির পর্যবেক্ষণ, বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর থেকে এই গাড়িগুলি এমনিই পড়ে রয়েছে। মামলার নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত গাড়িগুলি ফেলে রাখতে হলে, গাড়িগুলির বাজারদর আরও কমে যাবে। তা ছাড়া গাড়িগুলিও নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই গাড়িগুলি নিলামে তোলার অনুমতি দিয়েছেন বিচারক। আদালত এ-ও জানিয়েছে, এই মামলায় বেশির ভাগ অভিযুক্তই পলাতক। নীরবও আর্থিক প্রতারণার মামলায় ঘোষিত পলাতক। তাই এ ক্ষেত্রে নিলামের আগে নীরবের বক্তব্য জানতে চাওয়ারও প্রয়োজন নেই বলে মনে করছেন বিচারক।
২০১৮ সালে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ঋণখেলাপের মামলায় অভিযুক্ত হন হিরে ব্যবসায়ী নীরব। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার পরেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। ইডি তাঁকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে। ২০১৯ সালে ব্রিটেনে গ্রেফতার করা হয় নীরবকে। সেই থেকে তিনি লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার এলাকায় এক জেলে বন্দি রয়েছেন।