National news

#মিটু বাণের মুখে ইস্তফা দিলেন এম জে আকবর

পদত্যাগপত্রে আকবর লিখেছেন, ‘‘যেহেতু আমি ব্যক্তিগত ভাবে আদালতে বিচার চেয়েছি, তাই বিচারের স্বার্থে আমি আমার কার্যভার (পড়ুন, মন্ত্রিত্ব) থেকে ইস্তফা দেওয়াটাই সমীচিন মনে করছি। আমার বিরুদ্ধে যে সব মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমি ব্যক্তিগত ভাবেই আইনি লড়াই লড়তে চাই। তাই আমি বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৮ ১৭:২০
Share:

এম জে আকবর। ছবি- সংগৃহীত।

একের পর এক মিটু বাণের জেরে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বিশিষ্ট সাংবাদিক এম জে আকবর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বুধবার দুপুরে তাঁর পদত্যাগপত্রটি পাঠিয়ে দিয়েছেন আকবর।

Advertisement

পদত্যাগপত্রে আকবর লিখেছেন, ‘‘যেহেতু আমি ব্যক্তিগত ভাবে আদালতে বিচার চেয়েছি, তাই বিচারের স্বার্থে আমি আমার কার্যভার (পড়ুন, মন্ত্রিত্ব) থেকে ইস্তফা দেওয়াটাই সমীচীন মনে করছি। আমার বিরুদ্ধে যে সব মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আমি ব্যক্তিগত ভাবেই আইনি লড়াই লড়তে চাই। তাই আমি বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’’

এম জে আকবরের সেই ইস্তফাপত্র

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরেই বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর বনাম সাংবাদিক প্রিয়া রামানির লড়াইয়ে পাল্লা ভারী হচ্ছিল প্রিয়ার দিকে।

বুধবার এম জে আকবরের পদত্যাগ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি লেখে মহিলা সাংবাদিককের একটি সংগঠন। ফাউন্ডেশন অফ মিডিয়া অ্যান্ড ব্রিহান মুম্বই ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্ট নামে ওই সংগঠন প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবরের দায়ের করা মানহানি মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানায়।

ওই চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘‘ক্ষমতাশালীরা মানহানির মামলা করে কণ্ঠরোধের চেষ্টা করে থাকেন। এটা আসলে মহিলাদের চুপ করিয়ে দেওয়ার প্রয়াস মাত্র।’’

এ দিন আরও ২০ জন মহিলা সাংবাদিককে পাশে পেয়েছেন প্রিয়া রামানি। এঁরা সকলেই প্রিয়া রামানির সহকর্মী ছিলেন। এঁরা সকলেই ‘দ্য এশিয়ান এজ’-র কাজ করেছেন। এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন এই ২০ জন মহিলা সাংবাদিক। সেই যৌথ বিবৃতি শোনার জন্য বিচারককে অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।

তাঁরা জানান, শুধু প্রিয়া রামানিই নন, ওই সময় তাঁদের ২০ জনের মধ্যেও অনেকে এম জে আকবরের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর অন্যেরা তার সাক্ষী।

যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা জানান, ‘‘এই যুদ্ধে রামানি একা নন। বিচারপতির কাছে আমাদের অনুরোধ আমাদের বক্তব্যও শুনুন। আমাদের অনেকেও যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছি। আর অনেকে এর সাক্ষী।’’

এই ২০ জন মহিলা প্রত্যেকেই এক সময়ে এশিয়ান এজে কাজ করেছেন। বর্তমানে তাঁদের কেউ মুম্বই মিরর, ডেকান ক্রনিক্যাল বা অন্য কোনও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

#মিটু আন্দোলনে এম জে আকবরের বিরুদ্ধে মুখ খোলার পরই আকবর তা অস্বীকার করেন। গত সোমবার প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানির ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। দিল্লির পাতিয়ালা কোর্টে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯ (মানহানি) ধারা এবং ৫০০ (মানহানির শাস্তি) ধারায় এই মামলা করা হয়েছে। ৯৭ জন আইনজীবীর একটি দলকে মাঠে নামিয়েছেন আকবর। তার মধ্যে আবার ৩০ জন মহিলা। প্রিয়া রামানিও লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।

প্রিয়া রামানি থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন ১২ জন মহিলা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন