US India Trade

ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির দ্রুত পরিণতি পাওয়া উচিত! জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনায় সহমত রুবিও

ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়ে গিয়েছে। ভারত থেকে ঘুরে গিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধিদল। এ বার মার্কিন বিদেশসচিব রুবিওর সঙ্গে কথা হল জয়শঙ্করের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ২১:৩৭
Share:

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।

ভারত এবং আমেরিকার বাণিজ্যচুক্তি দ্রুত পরিণতি পাওয়া প্রয়োজন। নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন দু’দেশই এ বিষয়ে সহমত। সোমবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা হয়েছে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি ছাড়াও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, ভারতীয় উপমহাদেশ, ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে উভয়ের।

Advertisement

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়েছেন। ভারতীয় পণ্যের উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে। ট্রাম্প এই শুল্ক ঘোষণার আগে থেকেই ভারত এবং আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক স্তরে আলোচনা শুরু করেছে। সম্প্রতি আমেরিকার প্রতিনিধিদল ভারত থেকে ঘুরে গিয়েছে। বেশ কয়েক দফায় আলোচনাও হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, আমেরিকার পণ্যের উপর পাল্টা কোনও শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা নেই ভারতের। রবিবারই সংবাদ সংস্থা রয়টার্স কেন্দ্রের এক পদস্থ আধিকারিক সূত্রে জানিয়েছে, পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পথে হাঁটছে না ভারত। কারণ, এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আলোচনা চলছে।

ট্রাম্প নয়া শুল্কনীতি ঘোষণার পরে গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আমেরিকার প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত সতর্ক ভাবে পর্যালোচনা করে দেখছে কেন্দ্র। খুব শীঘ্রই সমস্ত শিল্প এবং রফতানিকারক সংস্থার সঙ্গে কথা বলে শুল্ক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দেখার চেষ্টা করা হবে। সূত্রের খবর, আগামী বুধবার দেশের বিভিন্ন রফতানি সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে কেন্দ্র। আমেরিকার শুল্কনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হতে পারে ওই বৈঠকে।

Advertisement

বস্তুত ভারতের মোট রফতানির প্রায় ১৮ শতাংশ যায় আমেরিকার বাজারে। আমদানির ক্ষেত্রে দেশীয় বাজারের ৬.২২ শতাংশ মার্কিন পণ্য। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয় ১০.৭৩ শতাংশ। সম্প্রতি নয়া মার্কিন শুল্কনীতিতে আমেরিকার বাজারে ভারতীয় পণ্য রফতানির জন্য ২৬ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্তের ফলে চিংড়ি, কার্পেট, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সোনার গহনা রফতানিকারকেরা ধাক্কা খেতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সরকার যাতে কোনও আর্থিক সুবিধা দেয়, নরেন্দ্র মোদীর সরকারের কাছে ইতিমধ্যে সেই অনুরোধ জানিয়েছে রফতানি সংস্থাগুলি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement