অহমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা। — ফাইল চিত্র।
অহমদবাদের লোকালয়ে ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। তার নেপথ্যে কি থাকতে পারে নাশকতা! সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মুরলীধর মোহোল। বিমানের দু’টি ব্ল্যাকবক্স এখন পরীক্ষা করে দেখছে বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী সংস্থা (এএআইবি)। তাদের দিল্লির দফতরেই চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও এক বার জানিয়েছেন যে, পরীক্ষার জন্য এই ব্ল্যাক বক্স দেশের বাইরে পাঠানো হচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলীধর সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এএআইবি তদন্ত শুরু করেছে। সব দিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এমনকি, নেপথ্যে নাশকতার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি সংস্থা এই নিয়ে কাজ করছে।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই দুর্ঘটনাকে ‘বিরল’ বলেও বর্ণনা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এক সঙ্গে দু’টো ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা আগে কখনও হয়নি।’’
গত ১২ জুন অহমদাবাদের মেঘানি নগরে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। লন্ডনের অদূরে গ্যাটউইক ছিল বিমানটির গন্তব্য। বিমানে সওয়ার ছিলেন ২৪২ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ২৪১ জন। বিমানটি চিকিৎসকদের হস্টেলের উপর ভেঙে পড়েছিল। সেখানে আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। উড়ানের পাঁচ মিনিটের মাথায় কী ভাবে সেই বিমান ভেঙে পড়ে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হলে আমরা জানতে পারব, যে ইঞ্জিনের সমস্যা, না কি জ্বালানির জোগানের কারণে বিমানের দু’টি ইঞ্জিন এক সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়। দুই পাইলটের মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছিল, তা ব্ল্যাকবক্সের সিভিআর (ককপিট ভয়েস রেকর্ডার)-এ রেকর্ড করা রয়েছে। এখনই এই নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে। রিপোর্ট প্রকাশিত হবে তিন মাসের মধ্যে।’’