প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
টানা ১৭ দিন বিভিন্ন স্কুলে চালাতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছেলেবেলার কাহিনিতে অনুপ্রাণিত সিনেমা। ছাত্রছাত্রী সেই ছবি দেখবে, প্রধানমন্ত্রীর ছেলেবেলার কাহিনিতে তারাও উদ্বুদ্ধ হবে। সিবিএসই বোর্ডকে (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন) সম্প্রতি এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন (কেভিএস) এবং নবোদয় বিদ্যালয় সমিতি (এনভিএস)-কেও এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এই বোর্ডগুলির অধীন স্কুলে দেখানো হবে ‘চলো জীতে হ্যায়’। ছবিটিতে প্রধানমন্ত্রীর ছেলেবেলার বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশিকা সিবিএসই, কেভিএস এবং এনভিএস-এ পৌঁছে গিয়েছে গত ১১ সেপ্টেম্বর। সেখানে বলা হয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিনের আগে ১৬ তারিখ থেকে স্কুলগুলিতে সিনেমাটি দেখানো শুরু হবে। চলবে ২ অক্টোবর পর্যন্ত। কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ‘‘এই ছবি ছোটদের চরিত্রগঠন, সেবা এবং দায়িত্বভার নিয়ে চিন্তা করতে শেখাবে। সামাজিক-মানসিক শিক্ষা, সহানুভূতি, আত্মপ্রতিফলনে সহায়তা করবে। ছোটদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’’
প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন দেশ জু়ড়ে পালিত হচ্ছে। কেন্দ্র এই উপলক্ষে বুধবার থেকে একটি পরীক্ষামূলক শিক্ষা অভিযান চালু করেছে, যার নাম ‘প্রেরণা’। এই অভিযানটি শুরু হয়েছে গুজরাতের ঐতিহাসিক ‘বর্নাক্যুলর স্কুল অফ বডনগর’ থেকে। প্রধানমন্ত্রী নিজে এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। ‘প্রেরণা’ অভিযানের অন্যতম অঙ্গ ‘চলো জীতে হ্যায়’ ছবিটি। তা এ বার সিবিএসই-র অধীন স্কুলগুলিতেও দেখানো হবে। নির্মাতাদের দাবি, এই ছবি স্বামী বিবেকানন্দের মূল্যবোধ দ্বারা অনুপ্রাণিত, যার সার কথা— ‘‘নিজের জন্য নয়, পরের জন্য বেঁচে থাকার নামই জীবন।’’ ২০১৮ সালে এই ছবি প্রথম মুক্তি পেয়েছিল। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন সিনেমা হলেও এই ছবি দেখানো হবে। ছবিটি শ্রেষ্ঠ ‘নন-ফিচার ফিল্ম’ হিসাবে জাতীয় পুরস্কার জিতেছে।