ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ফের মন্তব্য করেছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। —ফাইল চিত্র।
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সময়ে আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি নয়াদিল্লির। বৃহস্পতিবার তা আবার স্পষ্ট করল ভারত সরকার। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি ইতিমধ্যে ধাক্কা খেয়েছে সে দেশের আদালতে। আমেরিকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক একটি আদালত জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প নিজের আইনি বাধ্যবাধকতার বাইরে বেরিয়ে কাজ করেছেন। তাঁর শুল্কনীতি রদ হয়ে গিয়েছে আদালতে। আমেরিকার বাণিজ্যসচিব হোয়ার্জ লুটনিক আদালতে দাবি করেছেন, “প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত করে দেয়, এমন কোনও রায় ভারত এবং পাকিস্তানকে দেওয়া ট্রাম্পের প্রস্তাবের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। এর ফলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণসংশয় তৈরি হতে পারে।”
ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্যসচিবের ওই মন্তব্যের পর ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক থেকে ফের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ওই সময়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় শুল্কের বিষয়টি কখনও উঠে আসেনি। বস্তুত, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে গত ৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করে ভারতীয় সেনা। তার পরে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি হয় গত ১০ মে। বৃহস্পতিবার জয়সওয়াল জানিয়েছেন, “৭ মে অপারেশন সিঁদুর শুরু হওয়ার পর থেকে ১০ মে সংঘর্ষ বন্ধ হওয়ার সময় পর্যন্ত, সামরিক উত্তেজনা নিয়ে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনার সময় শুল্কের বিষয়টি কখনও উঠে আসেনি।”
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে ভারতের অবস্থান আগে থেকেই স্পষ্ট। যে কোনও ধরনের আলোচনা দ্বিপাক্ষিক স্তরেই হবে। তবে সন্ত্রাসবাদ এবং আলোচনা একসঙ্গে সম্ভব নয়, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন জয়সওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, অনেক বছর আগেই জঙ্গিদের নামের তালিকা পাকিস্তানকে দিয়ে রেখেছে ভারত। ওই জঙ্গিদের ভারতের হাতে তুলে দিতে হবে পাকিস্তানকে।