নারীশিক্ষায় উৎসাহ দিতে বিয়েতে টাকা

সংখ্যালঘুদের মধ্যে নারীশিক্ষায় উৎসাহ বাড়াতে তাই শিক্ষাভাতার পাশাপাশি বিয়ের সময় আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ভাবছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক। মুখতার আব্বাস নকভি আজ জানিয়েছেন, মেয়েদের শিক্ষার জন্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের দেওয়া ভাতার সুবিধে নিলে তাদের বিয়ের সময় ৫১ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৭ ০৩:০৫
Share:

মেয়েদের বিয়ের সময় ৫১ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। প্রতীকী ছবি।

মেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে গিয়ে টান পড়ে বিয়ের টাকায়। এই যুক্তিতে মাঝপথেই স্কুল থেকে ছাড়িয়ে দিচ্ছেন অভিভাবকেরা। সংখ্যালঘুদের মধ্যে নারীশিক্ষায় উৎসাহ বাড়াতে তাই শিক্ষাভাতার পাশাপাশি বিয়ের সময় আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ভাবছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক। মুখতার আব্বাস নকভি আজ জানিয়েছেন, মেয়েদের শিক্ষার জন্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের দেওয়া ভাতার সুবিধে নিলে তাদের বিয়ের সময় ৫১ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।

Advertisement

নকভি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রীর কথায়, ‘‘কন্যাসন্তানরা আমাদের দেওয়া শিক্ষাভাতার সুবিধা নিয়ে লেখাপড়া করলে আমরা বিয়ের ‘উপহার’ হিসেবে ৫১ হাজার টাকা করে দেব। আমার মনে হয় এতে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষায় উৎসাহ বাড়াবে।’’ তিনি জানান, তেলঙ্গানাতেও একই ধরনের প্রকল্প চালু রয়েছে। নাম ‘শাদি মুবারক’। অন্য রাজ্যগুলিতেও দরিদ্র সংঘ্যালঘু সম্প্রদায়ের দরিদ্র মেয়েরা লেখাপড়া চালাতে গিয়ে বহু বাধার মুখোমুখি হয়। তাদের অভিভাবকদের যুক্তি, লেখাপড়া করাতে গিয়ে বেশি অর্থব্যয় হলে বিয়ের টাকা জোটাতে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। এমনকী সরকারি শিক্ষাভাতাতেও সব সময় কুলিয়ে ওঠা যায় না খরচ। এই অভিভাবকদের সাহায্যের জন্য মেয়েদের বিয়ের সময় ৫১ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। নকভির বক্তব্য, ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমাতে গিয়েই মাঝপথে মেয়েদের লেখাপড়া ছাড়িয়ে দিচ্ছেন অনেক বাবা-মা। যার জেরে বাড়ছে স্কুলছুট পড়ুয়ার সংখ্যা।

নকভি জানান, দেশের ১০০টি জেলায় তৈরি হবে ‘গরিব নওয়াজ স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার।’ যেখানে চাকরি সংক্রাম্ত প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জিএসটির উপরে একটি সার্টিফিকেট কোর্সও করানো হবে। তিন মাসের এই কোর্সের পরে ছোট ও মাঝারি মাপের ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিতে পারবেন সার্টিফিকেট প্রাপ্তরা। এর ফলে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে চাকরির সুযোগও ব্যাপক হারে বাড়বে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement