ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার রুখতে গিয়েছিলেন বিএসএফ বাহিনীর একটি ব্যাটেলিয়নের সেকেন্ড-ইন কম্যান্ড। প্রচণ্ড মারধরের পর তাঁর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় পাচারকারীরা। অন্য নিরাপত্তারক্ষীরা শূন্যে গুলি চালিয়ে হামলাকারীদের হঠান। অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দীপক মণ্ডল নামে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওই আধিকারিককে। তাঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণীতে। প্রথমে আগরতলা পরে কলকাতার হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি কোমায় রয়েছেন। অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।
রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে ত্রিপুরার সিপাহীজলার মনারচকে। জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ্ত দাস জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় একটি গাড়ি ও তার চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। খোঁজ চলছে অন্য দুষ্কৃতীদের। বিএসএফ সূত্রে খবর, গত রাতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল। ঘটনাস্থল ঘুরে শিবিরে ফিরছিলেন দীপকবাবু। সঙ্গে ছিলেন ৪-৫ জন জওয়ান। মাঝরাস্তায় তিনি দেখেন, কয়েকটি গরু বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে। গাড়ি থেকে নেমে সে দিকে এগোন দীপকবাবু। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহকর্মীরা। পাচারকারীরা সংখ্যায় ছিল জনাপঁচিশেক। দু’টি গাড়িও ছিল তাদের সঙ্গে। তাদের হাতে ছিল লাঠি, ধারাল অস্ত্র, ইট। অভিযোগ, দীপকবাবুদের বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে তারা। মাটিতে পড়ে যান দীপকবাবু। একটি গাড়ি তাঁকে পিষে দিয়ে পালায়। পরিস্থিতি জটিল দেখে শূন্যে গুলি চালান তাঁর সঙ্গীরা। পালায় পাচারকারীরা।
অন্য দিকে, গত রাতেই ত্রিপুরার ধর্মনগরে একটি উট উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেটি বাংলাদেশে পাচারের ছক ছিল। আজিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কালীপুজোর চাঁদা তুলতে গাড়ি থামিয়েছিল স্থানীয় কয়েক জন তরুণ। তাঁরাই গাড়ির পিছন দিকে ত্রিপল ঢাকা অবস্থায় উটটিকে দেখতে পান। তাঁদের বক্তব্য, নির্মম ভাবে পা’গুলি দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল উটটির। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজ মেলেনি। বিএসএফের রাজস্থানবাসী এক জওয়ানকে উটের দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।