রাজধানী এক্সপ্রেসে লুঠপাট চালিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার ভোরে নয়াদিল্লি থেকে পটনাগামী ট্রেনের তিনটি কামরায় ঘটনাটি ঘটে। ঘুমিয়ে থাকায় লুটেরাদের দেখতে পাননি যাত্রীদের কেউ-ই। পরে পটনা স্টেশনে তাঁদের বিক্ষোভের জেরে সাসপেন্ড করা হয় রাজধানীতে মোতায়েন রেল পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর ও ৬ কনস্টেবলকে।
পূর্ব-মধ্য রেলের জনসংযোগ আধিকারিক অরবিন্দ কুমার রজক জানান, সিগন্যাল না থাকায় ভোর সাড়ে তিনটে থেকে প্রায় ২৫ মিনিট বিহারের সীমানার কাছে উত্তরপ্রদেশের ভাদৌড়া ও গহমার স্টেশনের মাঝখানে দাঁড়িয়েছিল ট্রেনটি। সম্ভবত ওই সময় দুষ্কৃতীরা ট্রেনের এ৪, বি৭ ও বি৮ কামরায় উঠে হাতের কাছে থাকা যাত্রীদের জিনিসপত্র নিয়ে পালায়।
রেলযাত্রীদের অভিযোগ, ওই ঘটনার সঙ্গে রাজধানী এক্সপ্রেসে মোতায়েন রেলকর্মী, ক্যাটারারের কয়েক জনের যোগসাজসও থাকতে পারে। কারণ, গভীর রাতে কয়েকটি কামরার দরজা খোলা ছিল। তাঁদের আশঙ্কা, নগদ, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, গয়না মিলিয়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার সামগ্রী লুট হয়েছে। পটনার রেল পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র কুমার মিশ্র অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি। তবে একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মুঘলসরাই থেকে বক্সারের মধ্যবর্তী এলাকা বরাবরই দুষ্কৃতী-প্রবণ।