মাওবাদী এলাকায় বসছে মোবাইল টাওয়ার

মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় টেলি-সংযোগ বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিহার-ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী প্রভাবিত এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই প্রায় সাতশো মোবাইল টাওয়ার বসানোর ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

Advertisement

দিবাকর রায়

পটনা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৮ ০২:১৭
Share:

মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় টেলি-সংযোগ বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিহার-ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী প্রভাবিত এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই প্রায় সাতশো মোবাইল টাওয়ার বসানোর ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। শুধুমাত্র বিহারেই ৪১২টি টাওয়ার বসানো হবে। টাওয়ারগুলি পুলিশ থানা, ফাঁড়ি অথবা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর শিবির চত্বরে মধ্যেই বসানো হবে। এর ফলে মাওবাদীরা কোনও ভাবেই টাওয়ার উড়িয়ে দেওয়ার মতো নাশকতা চালাতে পারবে না।

Advertisement

মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে দেশের ন’টি রাজ্যে মাওবাদীরা প্রায় ২৫০টি টাওয়ার বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত করতে এবং স্থানীয়দের সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে শক্তিশালী টেলি-সংযোগ জরুরি। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। মাওবাদী সূত্রের অবশ্য দাবি, পুলিশ তাঁদের গতিবিধি সম্পর্কে খবর সংগ্রহের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিহার-ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় স্কুলবাড়ি, রাস্তা, রেল লাইন, সেতু, হাসপাতাল এবং যোগাযোগ-সহ যে কোনও রকম পরিষেবা ব্যবস্থায় বাধা তৈরি করে জঙ্গিরা। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেয় মোবাইল টাওয়ার থেকে নির্মীয়মান পরিকাঠামো। নিরাপত্তার পাশপাশি এলাকার উন্নয়নও এতে ব্যাহত হচ্ছে। টেলি-সংযোগ না থাকায় বহু ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীকে ভুগতে হয়েছে। ঠিক তথ্য ঠিক সময়ে না পৌঁছনোয় প্রাণহানি হয়েছে। মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় মোবাইল ফোনও দেবে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

বিহার রাজ্য পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রস্তাবিত ৪১২টি মোবাইল টাওয়ারের মধ্যে ২৫৫টি রয়েছে মাওবাদীদের যে সব এলাকায় অতিরিক্ত সক্রিয়, তেমন এলাকায়। স্বাভাবিক ভাবেই, নিরাপত্তার দিক থেকে টাওয়ারগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।’’ বিহার বিএসএনএলের চিফ জেনারেল ম্যানেজার জি সি শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘আমরা বিহারে ৪১২টি মোবাইল টাওয়ার বসানোর অনুমতি পেয়েছি। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন