হুরিয়তকে বার্তা মোদীর

কাশ্মীরে অশান্তির মধ্যেই গৃহবন্দি কট্টরপন্থী হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির সঙ্গে কোনও রকম আলোচনাতেই যেতে রাজি নয় মোদী সরকার। কিন্তু এই গিলানির দৌহিত্রীকেই ইসলামাবাদে ডাক্তারি পড়ার ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৭ ০৩:৪৩
Share:

ফাইল চিত্র।

কাশ্মীরে অশান্তির মধ্যেই গৃহবন্দি কট্টরপন্থী হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির সঙ্গে কোনও রকম আলোচনাতেই যেতে রাজি নয় মোদী সরকার। কিন্তু এই গিলানির দৌহিত্রীকেই ইসলামাবাদে ডাক্তারি পড়ার ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র। অনেকেই মনে করছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এই ঘটনা বিশেষ তাৎপর্যের।

Advertisement

কাশ্মীরের কোনও ছাত্র ছাত্রী দেশের অন্য কোনও প্রান্তে পড়াশুনা করতে গেলে সমস্যার মধ্যে পড়েন— এমন অভিযোগ উঠে আসে বারবার। যত বারই কেন্দ্রের সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির বৈঠক হয়েছে, তিনি এই অভিযোগই জানিয়েছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, রাজ্যের বাইরে গিয়ে কাশ্মীরের ছাত্র-ছাত্রীদের অযথা বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপেরও দাবি জানিয়েছেন মুফতি।

এ ক্ষেত্রে বিষয়টি ছিল আরও জটিল। অন্য রাজ্য নয়, গিলানির দৌহিত্রী যাচ্ছেন পাকিস্তানে। আর গিলানির প্রতি মোদী সরকারের মনোভাব বরাবরই কঠোর। অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানায় তাঁর জামাইকে চর সন্দেহে তিহারে বন্দি করা হয়েছিল। তবে এখন উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার দৌহিত্রীকে পাকিস্তানে ডাক্তারি পড়ার ছাড়পত্র দিয়ে মোদী হুরিয়ত ও পাকিস্তানের উদ্দেশে বার্তা দিতে চাইছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন