জমি ফেরানোর আর্জি জানিয়েই নীরব সরকার

মামলা দায়ের করাই সার। তার পরে ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও, সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা নিয়ে আর কোনও সক্রিয়তা দেখাল না মোদী সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:২৯
Share:

মামলা দায়ের করাই সার। তার পরে ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও, সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা নিয়ে আর কোনও সক্রিয়তা দেখাল না মোদী সরকার।

Advertisement

কার্যত অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পথ প্রশস্ত করতে মোদী সরকার মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বলেছিল, বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমির বিতর্কিত জমি নিয়ে ফয়সালা যখন হয় হোক। আপাতত রাম জন্মভূমি ন্যাসের মতো সংগঠনগুলিকে জমি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। মনে করা হচ্ছিল, সরকার পক্ষ বুধবারই এর দ্রুত শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির সামনে মামলাটি উল্লেখ করবে। কিন্তু তেমন কিছুই ঘটেনি।

কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আজ জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্তই অন্য একটি মামলার দ্রুত শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু অযোধ্যার অধিগৃহীত জমি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। যা দেখে বিরোধীদের প্রশ্ন, তবে কি রাম মন্দির নিয়ে আবেগ উসকে দেওয়াটাই বেশি জরুরি ছিল? অযোধ্যার সাধুসন্তদের মন জয় করাটাই ছিল আসল উদ্দেশ্য?

Advertisement

সরকারি সূত্রের যুক্তি, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আজ থেকেই নিয়ম করে দিয়েছেন, এখন থেকে মামলার দ্রুত শুনানির জন্য আইনজীবীদের এসে মুখে উল্লেখ করার দরকার নেই। যদি না কারও ফাঁসি হয়ে যাবে, কেউ দোষী হয়েও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে, কিংবা কাউকে উচ্ছেদ হতে হচ্ছে— এমন জরুরি কিছু হয়। মামলা এমনিতেই শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়ে যাবে এক সপ্তাহের মধ্যে।

এই নিয়ম অবশ্য চালু হবে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে। ফলে কেন্দ্রের আইনজীবীদের সামনে আজ অযোধ্যার মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানাতে কোনও বাধা ছিল না। সলিসিটর জেনারেল এমনিতেই অন্য মামলায় সেই আর্জি রেখেছেন। আইনজীবীদের একাংশ এই প্রশ্নও তুলছে যে, মোদী সরকার নতুন মামলা করলেও তা বাবরি মসজিদ-রাম মন্দিরের মূল মামলার সঙ্গেই যুক্ত

হয়ে যেতে পারে। ফলে রাম মন্দির ঘিরে নতুন বেলুনের হাওয়া ফের বেরিয়ে যাবে। সেই ভয়েই কি কেন্দ্র কোনও বাড়তি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে না? কারণ, মূল মামলার দ্রুত ফয়সালা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা যে নেই, সেটা সরকারের অজানা নয়।

প্রবীণ আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ের মন্তব্য, ‘‘মামলার মূল নথিই কয়েক হাজার পৃষ্ঠার। অনেকগুলো ট্রাঙ্ক ও বাক্সে তা বন্দি রয়েছে। অনেক নথি ফারসিতে লেখা। মামলাকারীর সংখ্যাও এখানে এক নয়। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মতো ব্যক্তিও এই মামলায় যোগ দিয়েছেন। সকলের কথা বিস্তারিত শুনতে হবে। তাই অযোধ্যা মামলার শুনানি শুরু হলেই দশ দিনের মধ্যে রায় চলে আসবে, এমন কথাবার্তা শুনলে বিচলিত হয়ে পড়ি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement