আলোচনার লক্ষ্যেই কি কাশ্মীরে সত্যপাল

কেন্দ্রের শাসন চলাকালীন সত্যপাল মালিকের মতো সমাজবাদী ভাবধারার কোনও নেতাকে রাজ্যপালের দায়িত্ব দেওয়ায় স্বভাবতই জল্পনা শুরু হয়েছে যে, তা হলে কি লোকসভা ভোটের আগে নতুন করে আলোচনার পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৪৫
Share:

সত্যপাল মালিক

প্রায় পাঁচ দশক পরে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপালের দায়িত্ব পেলেন কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। কেন্দ্রের শাসন চলাকালীন সত্যপাল মালিকের মতো সমাজবাদী ভাবধারার কোনও নেতাকে রাজ্যপালের দায়িত্ব দেওয়ায় স্বভাবতই জল্পনা শুরু হয়েছে যে, তা হলে কি লোকসভা ভোটের আগে নতুন করে আলোচনার পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার?

Advertisement

সত্যপালের আগে যে আপাদমস্তক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি কর্ণ সিংহ। ১৯৬৭ সালে রাজ্যপাল হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। তারপর থেকে গত ৫১ বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপালের দায়িত্ব পেয়ে এসেছেন সেনার প্রাক্তন জেনারেল কে ভি কৃষ্ণরাও, এস কে সিন্‌হা, প্রাক্তন কূটনীতিক বি কে নেহরু বা আমলা জগমোহন, এল কে ঝা বা এনএন ভোরার মতো প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্তারা। যাঁদের কারণে কল্কে পাননি রাজনৈতিক নেতারা। এ দফাতেও জঙ্গি হামলার বাড়বাড়ন্তের কারণে শুরু থেকেই দৌড়ে ছিলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মেহর্ষি, প্রাক্তন সেনাপ্রধান
দলবীর সুহাগেরা। বিশেষ করে রাজ্যপালের শাসন জারি থাকায় দক্ষ কোনও প্রশাসককে সেখানে পাঠানোর বিষয়ে ইঙ্গিত দিচ্ছিল কেন্দ্র। কিন্তু সব শিবিরের জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে কাল দায়িত্ব দেওয়া হয় বিহারের রাজ্যপালের দায়িত্বে থাকা সত্যপালকে। রামনাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে তিনি বিহারের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন- পাসপোর্ট নিয়ে সিদ্ধান্ত যথাযথ, জানাল মন্ত্রক​

Advertisement

সরকারের একাংশ বিশেষ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ দীর্ঘ দিন ধরেই আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর উপর জোর দিচ্ছিলেন। কিন্তু রাজি ছিলেন না সঙ্ঘ তথা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। রাজনীতিকদের মতে, গতকালের নিয়োগ থেকেই স্পষ্ট নিজেদের নীতিতে পরিবর্তন আনার বিষয়ে ভাবছে সরকার। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যপাল হিসেবে কোনও রাজনৈতিক নেতাকে বসানোর অর্থই হল, রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনার সমস্যা সমাধানের বার্তা দেওয়া।

২০০৪-এ বিজেপিতে যোগ দেওয়া সত্যপাল এক দশক ধরে ক্রমশ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের কাছের লোক হয়ে ওঠেন। বিজেপি সূত্র বলছে, সেই কারণে প্রথমে বিহার ও তারপরে জম্মু-কাশ্মীরের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে সত্যপালের হাতে। সত্যপাল যখন ভিপি সিংহের মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তখন সেই মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন পিডিপি নেতা মুফতি মহম্মদ সইদ। ফলে সেই যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে মেহবুবা মুফতির সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টাও তলে তলে শুরু হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন