নিজস্বীতে মজে নরেন্দ্র মোদী। শেখ জায়েদ মসজিদ চত্বরে। রবিবার আবু ধাবিতে। ছবি: পিটিআই।
আরব দেশের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ‘মিনি ইন্ডিয়া’।
দু’দিনের সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফরের শুরুতে এ ভাবেই দু’দেশের যোগসূত্রকে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জীবিকার প্রয়োজনে বহু ভারতীয় দীর্ঘদিনই বসবাস করছেন দুবাই, আবুধাবির মতো শহরগুলিতে। কিন্তু ইন্দিরা গাঁধীর পরে আর কোনও প্রধানমন্ত্রী সে দেশের মাটিতে পা রাখেননি। ফলে চৌত্রিশ বছর পরে আজ কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বিমান আবু ধাবির মাটি ছোঁয়ার পরেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সৃষ্টি হয়েছে নতুন ইতিহাস। এ বার সে দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো, শক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতা ও জঙ্গি কার্যকলাপ আটকানোর বিষয়ে আলোচনা চালাবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বাণিজ্যের পরিমাণ গত কয়েক বছর ধরেই নিম্নগামী। তবু এখনও আমেরিকা ও চিনের পরেই বাণিজ্যের অঙ্কে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এই দেশ। একেই আরও শক্ত জমির উপর দাঁড় করাতে চান মোদী। ভারতে পেট্রোলিয়াম ক্ষেত্রে পরিকাঠামোর বিকাশে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সহযোগিতা চান তিনি। সে দেশে ভারতীয় পণ্য রফতানি বাড়ানোর উপরেও জোর দিচ্ছেন।
আরব আমিরশাহির বিভিন্ন শহরে বাস বহু ভারতীয়র। তাঁরা সে দেশের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছেন। এই ভারতীয় শ্রমিকদের সঙ্গেও দেখা করছেন মোদী। যা নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। আগামিকাল দুবাইয়ের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রায় ৫০ লক্ষ ভারতীয়ের জমায়েতে মোদীর বক্তৃতা দেওয়ার কথা।
আজ বিকেলে আবু ধাবির শেখ জায়েদ মসজিদে যান মোদী। সৌধি আরবের মক্কা, মদিনার পরে এটাই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ। বিখ্যাত এই মসজিদটি তৈরি করতে ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মার্বেল পাথর নিয়ে আসা হয়েছিল। এখানেই রয়েছে বিশ্বের সব থেকে বড় হাতে বোনা কার্পেট। অনেক মানুষ এখানে একসঙ্গে প্রার্থনা করতে পারেন।