আজ সন্ধে ৭টায় মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু।
সরকারে নরেন্দ্র মোদীর ‘সেনাপতি’ অরুণ জেটলি শামিল হতে চাইছেন না নতুন মন্ত্রিসভায়।
ভোটের প্রচার শেষে প্রধানমন্ত্রী কেদারনাথে রওনা হওয়ার আগেই তাঁকে ফোন করেছিলেন অরুণ জেটলি। জানিয়ে দিয়েছিলেন, অসুস্থতার কারণে তিনি মন্ত্রিসভায় কোনও দায়িত্ব নিতে পারবেন না। আজ শপথ নেওয়ার এক দিন আগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেও সে কথা পাকাপাকি ভাবে জানিয়ে দিলেন। চিঠিটি টুইটও করেছেন জেটলি। ‘কিছু সময়ের’ জন্য অব্যাহতি চেয়ে নিলেও সরকারকে ঘরোয়া ভাবে যে কোনও সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জেটলি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করেই এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া বেনজির ঘটনা বলেই মত বিজেপি নেতাদের।
জেটলি এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির এক জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে এ বারের জন্য হারাবেন মোদী। তাঁর বদলে অর্থমন্ত্রী হবেন নতুন কেউ।
সরকারের কাছে আরও একটি উদ্বেগের বিষয়, জেটলি রাজ্যসভার সাংসদ থাকলেও উচ্চকক্ষে নেতৃত্ব কে দেবেন? লোকসভা থেকে জিতে রাজ্যসভায় ইস্তফা দিয়েছেন অমিত শাহ, রবিশঙ্কর প্রসাদেরা। সেখানে পীযূষ গয়াল, নির্মলা সীতারামনেরা থাকলেও জেটলির মতো অভিজ্ঞতা নেই তাঁদের। সন্ধেয় জেটলির বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মোদী। সূত্রের খবর, জেটলিকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছেন মোদী। তাঁকে অর্থ মন্ত্রক, দফতরহীন মন্ত্রীর পদ বা ক্যাবিনেট মর্যাদার পদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আজ মোদীর শপথ
• আজ সন্ধে ৭টায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু। রাষ্ট্রপতি ভবনের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিত ছ’হাজার।
• আমন্ত্রিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, বিদেশি রাষ্ট্রনেতা, হবু মন্ত্রী ও তাঁদের পরিবারের ১০ জন করে সদস্য, সব নতুন সাংসদ।
• আমন্ত্রিত বাংলায় নির্বাচনী হিংসায় নিহত বিজেপি
কর্মীদের পরিবার।
• অতিথির তালিকায় আরএসএস নেতা, শিক্ষাবিদ, চিত্রতারকা, শিক্ষা ও ক্রীড়া জগতের বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব।
• আমন্ত্রিত ৫০০ সাংবাদিক।
• নৈশভোজে প্রধান আকর্ষণ ডাল রাইসিনা। বৈকালিকে সামোসা ও ধোকলা। বিদেশি অতিথিদের কথা ভেবে রাখা হচ্ছে আমিষও।
• মজুত রাখা হচ্ছে বাড়তি মিনারেল ওয়াটার।
• রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনের প্রাঙ্গণে এর আগে শপথ নিয়েছেন জওহরলাল নেহরু, চন্দ্রশেখর ও অটলবিহারী বাজপেয়ী।
• বিকেল ৪টে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সফদরজঙ্গ বিমানবন্দর।
জেটলি আজ চিঠিতে জানান, গত ১৮ মাস ধরে তাঁর শরীরের অবস্থা গুরুতর। কিন্তু বিজেপি শিবিরের অনেকে বলছেন, অসুস্থতা তো একটি বড় কারণই। কিন্তু পাঁচ বছর আগে দিল্লিতে ‘আনকোরা’ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের কাছে জেটলির যতটা গুরুত্ব ছিল, এখন তা নেই। জেটলি নিজেই আজ চিঠি প্রকাশ্যে এনেছেন। সেখানে ‘ঘরোয়া ভাবে’ সাহায্য করার কথা লিখেছেন। প্রকাশ্যে এমন কথা কেউ সচরাচর লেখেন না। অনেকের মতে, এর মধ্যে শ্লেষের বার্তাও আছে।