উদ্ধব ঠাকরে
আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শিবসেনার সমর্থন চাই বিজেপির। গত বারের মতো পরিস্থিতি এড়াতে আগাম সতর্ক তারা। তার মধ্যেই শিবসেনা সাংসদ রবীন্দ্র গায়কোয়াড়কে ঘিরে আজ তিক্ততা বাড়ল দুই দলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিবসেনাকে ঠান্ডা করার পথ খুঁজতে হচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শিবসেনা অনেক বারই বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে উল্টো পথে হেঁটেছে। উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের পরেও রাষ্ট্রপতি পদে নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে এনডিএ ছাড়াও বাইরের কিছু দলের সমর্থন প্রয়োজন বিজেপির। শিবসেনা বেসুরো গাইলে বাড়তি সমস্যা। তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।
কিন্তু অভিযুক্ত সাংসদ রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের উপরে বিমান সংস্থাগুলির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে তিক্ততা শুরু হয়েছে শিবসেনার। সকালে সংসদে সুমিত্রা মহাজন শিবসেনা সাংসদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও পরে তিনি সুর নরম করে বিমানমন্ত্রী অশোক গণপতি রাজুকে নির্দেশ দেন যাতে, দু’দিনের মধ্যেই রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের উপর বিমান সংস্থাগুলির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়।
স্পিকারের এই সুর নরম হওয়ার পিছনে অনেকের বক্তব্য, সুমিত্রা মহাজন রাষ্ট্রপতির দৌড়ে রয়েছেন। বিজেপি সূত্রের খবর, উদ্ধবকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রশ্নে বৃত্তের বাইরে রাখতে চাইছেন না মোদী। যদিও তাঁর দিল্লি আসা নিয়ে আজ শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘যাঁরা ভোট প্রত্যাশী, তাঁরা ‘মাতশ্রী’-তে আসতে পারেন। এখানেও আলাপ-আলোচনা হতে পারে।’’ নৈশভোজের নিমন্ত্রণকে কটাক্ষ করে রাউতের বক্তব্য, ‘‘মাতশ্রীতেও কিন্তু ভাল খাবার পাওয়া যায়।’’ প্রতিভা পাটিলের মতো গত বারও বিজেপির প্রার্থীর পরিবর্তে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছিল শিবসেনা। এ বার আর উদ্ধব ঠাকরের দলকে সেই সুযোগ দিতে চাইছেন না মোদী।