সুইস ব্যাঙ্ক। ছবি: রয়টার্স।
ক্ষমতায় এসেই ‘কালা ধন’ দেশে ফেরাবার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তোড়জোড় একেবারে হয়নি, বলা যাবে না। কিন্তু ‘কালা ধনে’র হটস্পট সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকার পরিমাণ ৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার কোটি টাকায়। সম্প্রতি সুইস ব্যাঙ্ক এই তথ্য প্রকাশ করেছে। আর এই তথ্যই কালোটাকা উদ্ধার নিয়ে মোদী সরকারের দাবিকে প্রশ্নের মুখে ফেলল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
কালোটাকা উদ্ধারের জন্য ২০১৬-র ডিসেম্বরে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। সেই ঘটনার পর অনেক জল গড়িয়েছে। তর্ক বিতর্কও হয়েছে বিস্তর। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে আদৌ কালো টাকা উদ্ধার হবে তো? মোদী সরকার বার বারই দাবি করেছিল যে নোটবন্দির ফলে প্রচুর কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে। পরবর্তীকালে যে তথ্য উঠে আসে, তা মোদী সরকারের জন্য খুব স্বস্তিদায়ক নয়। কিন্তু সুইস ব্যাঙ্কের এই তথ্যে কার্যত অস্বস্তির মুখে পড়তে হল কেন্দ্রকে। ২০১১ ও ২০১৩-র পর এই নিয়ে তৃতীয় বার এমন ঘটনা ঘটল। ২০১১-য় ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১২ শতাংশ, ২০১৩-য় ৪৩ শতাংশ, সেখানে ২০১৭-য় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি। ২০০৪-এ রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছিল— ৫৬ শতাংশ।
ক্ষমতায় আসার পরই কালোটাকা উদ্ধারে উঠে পড়ে লেগেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কালোটাকা দেশে ফিরিয়ে আনবেন। সুইস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ভারতীয়দের টাকার পরিমাণ কত,তা জানতে নানা রকম প্রচেষ্টা চালায় কেন্দ্র। সুইস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নানা রকম আলোচনা চালিয়ে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকা সম্পর্কিত তথ্য জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। কালোটাকা উদ্ধারে ভারতকে সহযোগিতার আশ্বাসও দেয় সুইস ব্যাঙ্ক।সম্প্রতি যে তথ্য তারা প্রকাশ করেছেসেই তথ্যই কেন্দ্রের দাবির বিরুদ্ধে বুমেরাং হয়ে যাবে না তো, জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে নানা মহলে।
আরও পড়ুন: দালাল-রাজ জারি, সন্দেহ অর্থ মন্ত্রকে
আরও পড়ুন: বিরোধীরা একজোট ক্ষমতার লোভে: মোদী