মোহন ভাগবত।
কট্টরপন্থীদের হামলা থেকে বাঁচতে গেলে একতাই মূল রক্ষাকবচ বলে মন্তব্য করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। আগরতলার বিবেকানন্দ ময়দানে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ একটি সংগঠনের সমাবেশে তিনি বলেন, ‘‘হিন্দুত্বই আমাদের এক সুতোয় বেঁধে রেখেছে। সমাজে দুর্বলদের উপরেই আক্রমণ হয়। হিন্দু সমাজের দুর্বলতা কাটাতে শক্তি প্রয়োজন।’’ বাম শাসিত ত্রিপুরায় ভাগবতের সভায় ভিড় হয়েছিল ভালই। রাজ্য পুলিশের কর্তারাও ঘরোয়া ভাবে মেনে নিয়েছেন, আস্তাবল ময়দানে রবিবারের সভায় ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ছিলেন।
উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি থেকে আরএসএস কর্মকর্তাদের নিয়ে আগরতলায় এখন চলছে সঙ্ঘের শিবির। যেখানে কয়েক দিন ধরে ঘাঁটি গেড়ে থাকছেন সঙ্ঘ প্রধান ভাগবত। সেই শিবিরের ফাঁকেই আজ ছিল সমাবেশ। সঙ্ঘের কায়দায় সুশৃঙ্খল সমাবেশ হলেও ভোটের আগে রাজ্যে বিজেপি-র প্রত্যাশা তেমন কিছু পূরণ হয়নি। কড়া হিন্দুত্বের তেমন জোরালো সুর ভাগবতের গলায় শোনা যায়নি। তিনি বরং জোর দিয়েছেন, কী ভাবে আদর্শ ‘স্বয়ংসেবক’ হওয়া যায়, তার উপরে। পরামর্শ দিয়েছেন সমাজসেবা এবং জনসংযোগের। ময়দানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব এবং দলে যোগ দেওয়া কয়েক জন বিধায়ক।
বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং রাজ্যের কিছু প্রাক্তন আমলা ও পুলিশ আধিকারিক সমাবেশ মঞ্চে ছিলেন। রাজ্যের উপজাতিদের মধ্যে থেকে উগ্রপন্থী তৈরি হওয়ার দায় রাজনীতির, এই অভিযোগ শোনা গিয়েছে মঞ্চ থেকে। পাশাপাশিই সমাবেশ থেকে প্রশ্ন উঠেছে, ত্রিপুরা রাজবাড়ির সামনে সূর্য সেন ও ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তি আছে। অথচ ত্রিপুরার প্রাক্তন মহারাজা রাধাকিশোর মানিক্যের মূর্তি কেন স্থাপন করা হয়নি?