Rajasthan Baby

সদ্যোজাতের মুখে আঠা লাগিয়ে জঙ্গলে ফেলেছিলেন, সেই মাকে অবশেষে ধরল পুলিশ, আটক দাদুও

শিশু যাতে চিৎকার করে কাঁদতে না-পারে, তা নিশ্চিত করতে তার মুখে পাথর ভরে দিয়েছিলেন মা। তার পর আঠা দিয়ে দুই ঠোঁট জুড়ে দিয়েছিলেন। অবশেষে তাঁকে আটক করল পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২০
Share:

সদ্যোজাতকে জঙ্গলে ফেলে এসেছিলেন মা। —ফাইল চিত্র।

সদ্যোজাত সন্তানকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছিলেন। একটি পাথর তার মুখে ভরে দিয়েছিলেন অবলীলায়। শিশু যাতে কোনও অবস্থাতেই মুখ খুলতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে এর পর আঠা দিয়ে জুড়ে দিয়েছিলেন তার দু’টি ঠোঁট। সেই অবস্থায় শিশুকে জঙ্গলে ফেলে চলে আসেন মা। অবশেষে ঘটনার দু’দিন পর অভিযুক্তকে আটক করল পুলিশ। মায়ের পাশাপাশি সদ্যোজাতের দাদুকেও আটক করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ওই শিশুর। এখনও সে বিপন্মুক্ত নয়।

Advertisement

রাজস্থানের ভিলওয়া়ড়ার ঘটনা। কিছু দিন আগে সেখানকার একটি জঙ্গল থেকে ১৯ দিনের সদ্যোজাতকে উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। স্থানীয় এক যুবক জঙ্গলে গবাদি পশু চরাতে গিয়েছিলেন। তিনি শিশুর গোঙানি শুনতে পেয়ে গ্রামবাসীদের সতর্ক করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তার পর ওই অবস্থায় সদ্যোজাতকে উদ্ধার করা হয়। তার ঠোঁটে আঠা লাগানো ছিল এবং মুখে একটি পাথর ভরা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালের আইসিইউ-তে শিশুর চিকিৎসা চলছে। সেই থেকেই শিশুর মাকে খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে তাঁর খোঁজ মিলেছে। অভিযোগ, মায়ের সঙ্গে এই চক্রান্তে শিশুটির দাদুও জড়িত ছিলেন।

পুলিশ জানতে পেরেছে, কোনও এক যুবকের সঙ্গে শিশুর মায়ের ‘অবৈধ’ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তার ফলে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন এবং নিজের বাবাকে সব কথা জানান। এর পর ভিলওয়াড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলে এসেছিলেন দু’জন। সেখানেই তরুণী সন্তানের জন্ম দেন। সমাজের নিন্দার ভয়ে সন্তানকে গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেন মা। প্রথমে তাকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ক্রেতা জোগাড় করতে পারেননি। এর পরেই জঙ্গলে শিশুকে ফেলে আসার পরিকল্পনা করেন। ভিলওয়াড়ার সুপারিন্টেন্ডেন্ট ধর্মেন্দ্র সিংহ যাদব বলেন, ‘‘আমরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তরুণীকে আটক করেছি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এক যুবকের সঙ্গে ওঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাতে এই সন্তান জন্মেছে। ওঁরা বাচ্চাটাকে ফেলে দিয়েছেন।’’ তরুণীর সঙ্গে শিশুর সম্পর্কের বিষয়ে নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement