প্রস্তুতি দেখতে ত্রিপুরায় মুকুল

ত্রিপুরায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন্ন জনসভার প্রস্তুতি ও তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উড়ে এলেন দলের সহ-সভাপতি মুকুল রায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৬ ০৩:২৫
Share:

ত্রিপুরায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন্ন জনসভার প্রস্তুতি ও তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উড়ে এলেন দলের সহ-সভাপতি মুকুল রায়। শহরের আস্তাবল মাঠে ত্রিপুরা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের উপস্থিতিতে সভাস্থল ঘুরে দেখেন মুকুল। এ ছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখতে তাঁর সঙ্গে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তিন-চার জন উচ্চপদস্থ কর্তা। ত্রিপুরা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তী জানান, ‘‘নেত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। সে জন্য মকুল রায় ছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গের কয়েক জন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা সভাস্থল, সংলগ্ন এলাকা আজ ভাল ভাবে ঘুরে দেখেন।’’

Advertisement

সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পর মুকুলবাবু বলেন, ‘‘ত্রিপুরার মানুষ বামফ্রন্টের শাসনে ক্লান্ত। মমতার সভাকে কেন্দ্র করে যে উন্মাদনা দেখছি, বোঝা যাচ্ছে রাজ্যবাসী একটা রাজনৈতিক পরিবর্তন চাইছেন।’’ তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই ‘পরিবর্তনের’ সূচনা হবে আগামী ৯ অগস্টের জনসভা থেকেই। শেষ হবে ২০১৮ সালের বিধানসভার নির্বাচনের পর।

এ দিকে, একই দিন অর্থাৎ ৯ অগস্ট রাজ্যের একটি উপজাতি গোষ্ঠী আস্তাবল মাঠে সমান তালে জনসভা করার প্রস্তুতি নিয়ে চলেছে। সেই গোষ্ঠীর নেত্রী, পাতালকন্যা জামাতিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘৯ অগস্ট আন্তর্জাতিক জনজাতি দিবস। একটি ঐতিহাসিক দিন। ওই দিন সংগঠনের সভা আস্তাবল মাঠেই হবে। অন্য কোনও বিকল্প দেখছি না।’’ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মুকুল রায় জানান, ‘‘দু’টো অনুষ্ঠানের সময় আলাদা। অসুবিধা হবে না।’’

Advertisement

ত্রিপুরা পুলিশের আইজি উত্তম ভৌমিক অবশ্য জানান, ‘‘আস্তাবল মাঠে তৃণমূলের সভা হবে, এ রকমই জানা আছে। ওঁরা অনুমতিও হয়তো নিয়েছেন। অন্য কোনও গোষ্ঠী জনসভা করছে কি না, জানা নেই।’’ ৯ অগস্ট অন্য কোনও রাজনৈতিক গোষ্ঠীর জনসভা আস্তাবল মাঠে হবে কিনা, তা অবশ্য রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বও জানেন না। অবশ্য তৃণমূলের চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল নেত্রীর সভা বানচাল করার জন্য এ সব সিপিএমের কারসাজি।’’ আস্তাবলে ওই জনসভার জন্য অনেক আগে থেকেই পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে রতনবাবু জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement