— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপুচন্দ্র দাস নামে এক যুবককে পিটিয়ে খুন এবং দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল আরও দু’জনকে। ঘটনার বিভিন্ন ভিডিয়ো দেখে শনাক্ত করে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২। ওই সময় আরও যাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার রাতেই আশিকুর রহমান এবং কাইয়ুম নামে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনেরই বাড়ি ভালুকার জামিরদিয়া ডুবালিয়াপাড়া এলাকায়। রবিবার তাঁদের আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজতে নেওয়া হবে। ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লা আল মামুন জানিয়েছেন, ধৃতেরা ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ভিডিয়ো দেখে তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ভিডিয়োয় আরও যাঁদের মুখ দেখা গিয়েছে, তাঁদের খোঁজ চলছে।
ময়মনসিংহের ঘটনায় আগেই ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ধৃতেরা হলেন মহম্মদ লিমন সরকার, মহম্মদ তারেক হোসেন, মহম্মদ মানিক মিয়া, এরশাদ আলি, নিজুম উদ্দীন, আলমগির হোসেন, মহম্মদ মিরাজ হোসেন আকন, মহম্মদ আজমল হাসান সগীর, শাহিন মিয়া এবং মহম্মদ নাজমুল। আরও দু’জন ধরা পড়ায় ওই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়়ে হল ১২।
বছর ২৭-এর দীপু স্থানীয় একটি পোশাকের কারখানায় কাজ করতেন। ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্য করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করে উন্মত্ত জনতা। তাতে যুবকের মৃত্যু হয় এর পর দেহটি গাছের সঙ্গে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তাতে। সেই ভিডিয়ো দ্রুত সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পর দীপুর দেহের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তবে রবিবার সকালে র্যাব জানিয়েছে, দীপু সমাজমাধ্যমে বা প্রকাশ্যে উস্কানিমূলক কোনও কথা বলেছিলেন, এমন প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তদন্তে নেমে প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে র্যাবের আধিকারিকেরা জেনেছেন, সে দিন উপস্থিত জনতার কেউই দীপুকে উস্কানিমূলক কিছু বলতে নিজ কানে শোনেননি। বেশির ভাগেরই দাবি, তাঁরা অন্যের মুখে বিষয়টি শুনেছিলেন।