ফাইল চিত্র।
মুকুল রায়কে নিয়ে বিজেপি নেতাদের নরম মনোভাবে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই আজ রাজ্যসভায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরোধিতা কৌশলে এড়িয়ে গেলেন মুকুল। পাশাপাশি, অধিবেশন স্থগিত থাকার সময়ে ট্রেজারি বেঞ্চে গিয়ে অরুণ জেটলি, মুখতার আব্বাস নকভি-সহ বিজেপির বেশ কয়েক জন নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ আলোচনা করতেও দেখা গেল তাঁকে।
নোট বাতিল ও জিএসটির সঙ্গে জুড়ে থাকা সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করতে সংসদে আগেই নোটিস দিয়েছিলেন বিরোধীরা। এরই মধ্যে নতুন নোটের রকমফেরের বিষয় সামনে আসায় রাজ্যসভায় বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করেন বিরোধীরা। সকালে অধিবেশন শুরুর আগে এ নিয়ে আলোচনায় বসেন গুলাম নবি আজাদ, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সতীশ মিশ্ররা। পরে রাজ্যসভায় বিরোধীরা যখন হইচই শুরু করেন, তখন তৃণমূলের ডেরেক, সুখেন্দুশেখর রায়রা তাতে অংশ নিলেও অনুপস্থিত ছিলেন মুকুল। দুপুরে ফের বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা সরব হলে অধিবেশন কক্ষে হাজির থাকা মুকুল নিজের জায়গায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন। দলের আর এক সাংসদ আহমেদ হাসান ইমরান তখন ওয়েলে গিয়ে সরকার-বিরোধী শ্লোগান দিচ্ছেন।
বিজেপির সঙ্গে মুকুলের এই ‘সখ্যতা’ নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাইছেন না তৃণমূলের সংসদীয় নেতৃত্ব। রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি ভোটে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ‘ক্রসভোট’ হয়েছে— রাজনৈতিক শিবিরে তৈরি হওয়া গুঞ্জনকেও প্রকাশ্যে উড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি শুধু বলেন, ‘‘আমাদের দিক থেকে ক্রসভোটিং হয়নি।’’