আর সমন নয়, ললিত মোদীর নামে এ বার জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা। আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় আইপিএলের প্রাক্তন কমিশনারের বিরুদ্ধে আজ এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে মুম্বইয়ের এক আদালত। ৪৭০ কোটি টাকা তছরুপে অভিযুক্ত ললিত এই মুহূর্তে লন্ডনে। কার্যত দেশছা়ড়া। তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দাবি, মামলা শুরুর পর গত ছ’বছরে একাধিক বার সমন পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি ললিতের তরফে। ইডি-র আর্জি মেনেই তাই এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আদালত।
আইনজ্ঞদের একাংশের ধারণা, এ বার দেশে ফিরতে বাধ্য ললিত। না হলে, আরও বড় সমস্যায় পড়বেন পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই এই পুঁজিপতি। অন্য দিকে, ললিত-বিতর্কে আগেই নাম জড়িয়েছে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার। ললিতের নামে এ বার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় বিজেপির কপালে ভাঁজ আরও স্পষ্ট হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ বার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হবে ইডি। সূত্রের খবর, গ্রেফতারি নিয়ে কূটনৈতিক পথেই ব্রিটেনের সাহায্য চাইবে নয়াদিল্লি। কূটনীতিকদের একাংশ অবশ্য এর পরেও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। তাঁদের মতে, মোদী ব্রিটিশ সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে আজ কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন দিল্লির কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালাও। তাঁর কথায়, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাবতীয় বিশ্বাসযোগ্যতা খুইয়েছে কেন্দ্র। ললিতের মদতদাতারাই তো সরকার চালাচ্ছে!’’
কিন্তু তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এ ভাবে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যায় কি না, প্রশ্ন উঠছে। যা উড়িয়ে দিয়েই ইডি-র আইনজীবী ভেনেগোয়াঙ্কার বলেন, ‘‘২০০৯ থেকে টানা সমন পাঠানো হচ্ছে ললিতকে। কিন্তু এক বারও তিনি তদন্তে সহযোগিতা করেননি।’’ তাই পরোয়ানাই শেষ অস্ত্র বলে দাবি তাঁর।
২০০৯-এ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসনের অভিযোগের ভিত্তিতেই ইডি এই তছরুপের মামলা শুরু করে। সূত্রের খবর, গত মাসের শুরুতেও একটি সমন পাঠানো হয় ললিতকে। ১৫ দিনের মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়। ১৯ জুলাই পেরিয়েছে সেই সময়সীমা। আসেননি মোদী। এবং এ বারও সমনের কথা অস্বীকার করেছেন। ঠিক এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি।