Mumbai

মানবজন্ম চাপিয়ে দিয়েছেন বাবা-মা, মামলা করতে চান ছেলে!

মানবজন্ম তাঁর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে বেজায় ক্ষুদ্ধ মুম্বইয়ের বাসিন্দা রাফায়েল স্যামুয়েল। তাই এ বার নিজের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে চান এই ২৭ বছরের যুবক!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১০:৩৭
Share:

এই সেই অদ্ভুত দাবি করা যুবক।

মানবজন্ম তাঁর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে বেজায় ক্ষুদ্ধ মুম্বইয়ের বাসিন্দা রাফায়েল স্যামুয়েল। তাই এ বার নিজের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে চান এই ২৭ বছরের যুবক!

Advertisement

যদিও শুধুমাত্র মজা করতেই এমন বলেননি রাফায়েল। এই নিয়ে রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের লম্বাচওড়া বক্তব্যও রেখেছেন তিনি। নিজেকে তিনি জন্ম সংক্রান্ত ব্যাপারের বিরোধী বলতেও দ্বিধা করেন না। তিনি বিশ্বাস করেন, সন্তানেরা জীবন নিয়ে যা দুর্ভোগ বা দুর্দশা সহ্য করে থাকে, তার দায় সম্পূর্ণ তাদের বাবা-মায়ের।

তাঁর মতে, একজন সন্তান হঠাৎ পৃথিবীতে চলে আসছে শুধু মাত্রই তার বাবা-মায়ের ইচ্ছায়। এতে তার কোনও ভূমিকা নেই। তার জন্মের আগেই নির্ধারিত সিদ্ধান্তে তার ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনও দাম নেই। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, এই ঘটনার জন্য তিনি তাঁর বাবা-মায়ের উপরেও যথেষ্ট ক্ষুদ্ধ তা জানিয়েছেন স্যামুয়েল। যদিও তাঁর দাবি অনুযায়ী, বাবা-মায়ের সঙ্গে স্যামুয়েলের সম্পর্ক খারাপ নয়। কিন্তু তাঁর অনুমতি না নিয়ে তাঁকে পৃথিবীতে আনার জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন তিনি। ভারতের বাদবাকি শিশুদের জন্যেও তিনি বার্তা দিয়েছেন যে, বাবা-মায়ের উপর সবকিছু ছেড়ে না দিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেওয়ার চেষ্টা করতে। নিজেদের কথা স্পষ্ট ভাবে জানাতে।

Advertisement

আরও পড়ুন: পাবজি খেলার জন্য দামি ফোন কিনে না দেওয়ায় আত্মঘাতী ছাত্র

রাফায়েল আরও জানিয়েছেন যে, জন্মের পর বড় হতে না হতেই এক জন শিশুকে প্রথমে স্কুল, পড়াশোনা, কেরিয়ার এই সব জাঁতাকলের মধ্যে ঢুকে পড়তে হয়। কিন্তু আদৌ সেই শিশুটি কী চায়, সেই নিয়ে বাবা-মায়েরা ভেবেছেন কী কখনও? সুতরাং তাঁর জীবনের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণই থাকছে না তাঁর, এমনই যুক্তি স্যামুয়েলের। সন্তান জন্ম দিতে না চাইলে, তার উপায় সম্পর্কেও সকলের জানা উচিত বলে মন্তব্য করেন ওই ব্যক্তি। তিনি বাকি শিশুদের জন্যও বার্তা দিয়েছেন যে, সকল সন্তানেরই তাদের বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করা উচিত যে, কেন তাকে জন্ম দিয়েছেন তাঁরা। এমনকি, ছোট থেকেই শিশুদের যে বড়দেরকে অন্ধ ভাবে সম্মান করতে হবে, সেই ভাবনা-চিন্তাকেও ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার পক্ষপাতী তিনি।

ইউটিউব ছাড়াও প্রায় নিয়মিতই ফেসবুকে নিহিল আনন্দ নামের অপর একটি পেজ থেকেও নিজের বিভিন্ন বার্তা শেয়ার করে থাকেন এই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন: ‘সারদা তদন্তে প্রমাণ যে নষ্ট হয়েছে, প্রমাণ দিন’, রাজীব-কাণ্ডে সিবিআইকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন